দুই শিশুকন্যার অভিভাবকত্ব নিয়ে ধন্দ কাটাতে প্রয়োজনীয় নথির অপেক্ষায় দমদম থানার পুলিশ।
অমরপল্লির লোল্যান্ড এলাকার বাসিন্দা নিঃসন্তান প্রৌঢ় দম্পতি দুই শিশুকন্যার অভিভাবক কী ভাবে হলেন, তা নিয়ে সোমবার সন্দিহান হয়ে পড়েন স্থানীয়দের একাংশ। অভিযোগ, ওই দুই শিশুকন্যার অভিভাবকত্ব তাঁরা কী ভাবে পেলেন, সেই সংক্রান্ত কোনও কাগজ দম্পতি দেখাতে পারেননি। ঘটনায় অন্য মাত্রা যোগ করেছে আট মাস আগের ঘটনাক্রম। দম্পতি যে আবাসনে থাকেন তার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এর আগেও এক শিশুকন্যার অভিভাবকত্ব নেন ওই দম্পতি। কিন্তু আট মাস আগে সেই মেয়েটি মারা যায়। আবাসনের বাসিন্দাদের অভিযোগ, দম্পতির গাফিলতিতেই ওই শিশুকন্যার মৃত্যু হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে সোমবার দম্পতিকে থানায় ডেকে পাঠিয়ে তিন দিনের মধ্যে নথি জমা করতে বলেছে পুলিশ। ছ’মাস ও আড়াই মাসের দুই শিশুকে শিশুকল্যাণ সমিতির প্রতিনিধিদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
পুলিশ সূত্রের খবর, অভিভাবকত্ব নিয়ে দম্পতির বক্তব্যে কিছু ধোঁয়াশা রয়েছে। আট মাস আগে মৃত শিশুকন্যাটি, টেস্ট টিউব সন্তান বলে দাবি করেছে দম্পতি। এখন যে দুই শিশু তাঁদের কাছে রয়েছে, তার মধ্যে ছ’মাসের শিশুকন্যাকে হরিদ্বার থেকে আনা হয়েছে। দেড় মাসের শিশু সম্পর্কে কখনও জানিয়েছেন, ওই শিশুকন্যা তাঁদের এক আত্মীয়ের। কখনও দাবি করেছেন, সারোগেসির মাধ্যমে ওই শিশুর অভিভাবক হয়েছেন তাঁরা। পুলিশের বক্তব্য, কোন শিশু কী ভাবে তাঁদের কাছে এল, তা নথি হাতে না পেলে বোঝা সম্ভব নয়। আট মাস পরে একসঙ্গে দুই শিশুর অভিভাবকত্ব প্রৌঢ় দম্পতি কেন নিতে গেলেন, সেই প্রশ্নেরও উত্তর চান তদন্তকারীরা। পুলিশ জানিয়েছে, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কাগজ দেখাতে না পারলে দম্পতির বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে ওই দম্পতি ষড়যন্ত্রের শিকার বলে জানিয়েছেন।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
উত্তর ২৪ পরগনা শিশুকল্যাণ সমিতি সূত্রের খবর, ‘স্পেশালাইজড অ্যাডপশন এজেন্সি’র তত্ত্বাবধানে দুই শিশুকে রাখা হয়েছে। আপাতত তারা সুস্থ। যদি পুলিশের কাছে দম্পতি কাগজপত্র জমাও করেন, সমিতি মনে করলে দুই শিশুর ডিএনএ পরীক্ষার পথে হাঁটতে পারে। আর নথি জমা না করলে শিশু দু’টির কোনও দাবিদার রয়েছে কি না, তা দেখতে কাগজে বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে। দাবিদার পাওয়া না গেলে সরকারি প্রক্রিয়া মেনেই দুই শিশুকে দত্তক দেওয়া হতে পারে।