সপ্তাহখানেকের বেশি ‘পরিস্রুত পানীয় জল’ এতটাই ঘোলা যে পানেরও অযোগ্য। বাধ্য হয়েই দিনের পর দিন জল কিনতে বাধ্য হচ্ছেন পঞ্চসায়র এলাকার বাসিন্দারা।
পুরসভা সূত্রে খবর, পঞ্চসায়রে একটি পাম্প খারাপ থাকায় ভূগর্ভস্থ জল ঘোলা হচ্ছে। পাম্প পাল্টে নতুন জায়গায় বসানোর কাজ চলছে। সাত দিনে কাজ শেষ হবে বলে জল সরবরাহ দফতরের দাবি। বিষয়টি স্থানীয় কাউন্সিলর অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়ও মেনে নিয়েছেন।
সোমবারই পুর-বাজেট অধিবেশনে শহরে জল সরবরাহ নিয়ে সোচ্চার হন পুর-কাউন্সিলররা। ৭৫ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলর বিলকিস বেগম বলেন, ‘‘খিদিরপুরে জলসঙ্কট রয়েছে।’’ যাদবপুর ও টালিগঞ্জের বহু ওয়ার্ডে জল সরবরাহ কম বলে অভিযোগ করেন যথাক্রমে ৯৮ এবং ১০২ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলর মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তী এবং রিঙ্কু নস্কর। ৯০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়ও জানান, তাঁর ওয়ার্ডে আগের চেয়ে পানীয় জল পরিষেবা উন্নত হলেও কিছু কিছু এলাকায় সরবরাহে ঘাটতি থেকে যাচ্ছে।
তবে কাউন্সিলরদের দাবি নস্যাৎ করে মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন বলেন, ‘‘জল সরবরাহ আগের চেয়ে বেড়েছে। ভবিষ্যতেও জল সরবরাহ বাড়াতে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কাজও চলছে। কোনও কারণে কোনও নির্দিষ্ট এলাকায় সমস্যা তৈরি হয়ে ঘোলা জল বেরোতে পারে। পুরসভা নিশ্চই ব্যবস্থা নেবে। তবে সরবরাহ বন্ধ বা কমে যাওয়ার কোনও খবর পাইনি।’’