জাঁক মুছে রাতারাতি স্তব্ধ বালু হক্কর লেন

বিয়ের অনুষ্ঠান নিয়ে গল্পগুজব হঠাৎই থেমে গিয়ে পরিস্থিতি রাতারাতি যেন থম মেরে গিয়েছে। কথা তো নয়, শুধু ফিসফাস! রেড রোড়ে বুধবার ভোরে বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় বায়ুসেনা অফিসারের মৃত্যু বদলে দিয়েছে সাত কিলোমিটার দূরে পার্ক সার্কাসের এক মহল্লাকে। মামুলি দোতলা বাড়িটা বালু হক্কর লেনের একেবারে শেষ মাথায়। বাড়ি তো বটেই, গলিটা জুড়েই এত দিন চলছিল জম্পেশ চর্চা। এখানকার বাসিন্দা হাজি মজিদ জামালের ছোট মেয়ের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে ধনী ব্যবসায়ী মহম্মদ সোহরাবের ছোট ছেলে সাম্বিয়ার।

Advertisement

শুভাশিস ঘটক

শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০১৬ ০৩:০৬
Share:

সাম্বিয়া সোহরাব

বিয়ের অনুষ্ঠান নিয়ে গল্পগুজব হঠাৎই থেমে গিয়ে পরিস্থিতি রাতারাতি যেন থম মেরে গিয়েছে। কথা তো নয়, শুধু ফিসফাস!

Advertisement

রেড রোড়ে বুধবার ভোরে বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় বায়ুসেনা অফিসারের মৃত্যু বদলে দিয়েছে সাত কিলোমিটার দূরে পার্ক সার্কাসের এক মহল্লাকে। মামুলি দোতলা বাড়িটা বালু হক্কর লেনের একেবারে শেষ মাথায়। বাড়ি তো বটেই, গলিটা জুড়েই এত দিন চলছিল জম্পেশ চর্চা। এখানকার বাসিন্দা হাজি মজিদ জামালের ছোট মেয়ের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে ধনী ব্যবসায়ী মহম্মদ সোহরাবের ছোট ছেলে সাম্বিয়ার।

৫ জানুয়ারি ছিল বিয়ের অনুষ্ঠান, তার পরেও চলেছে আমুদে কাটাছেঁড়া। ‘বিয়ের দিন ছেলের মা যে শাড়ি পরেছিলেন, তার দাম জানিস? শুনেছি বারো লাখ টাকা!’ ‘বিয়ের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের মন্ত্রী, এই বাংলার মন্ত্রী, বিরোধী দলের নেতা, কত সব ভিআইপি।’ ‘ইএম বাইপাস সংলগ্ন বিয়েবাড়িতে তো সার দিয়ে লালবাতির গাড়ি।’

Advertisement

কিন্তু সাত দিন কাটতে না কাটতেই তাল কেটে গিয়েছে। রেড রোডে বায়ুসেনার কর্পোরালকে যে গাড়ি ধাক্কা মেরেছে, সেটা সাম্বিয়া সোহরাব চালাচ্ছিলেন বলে সন্দেহ। ৫ তারিখের ওই অনুষ্ঠানে সাম্বিয়াই ছিলেন পাত্র।

বিয়ের পর বালু হক্কর লেনের শ্বশুরবাড়িতে আসার ফুসরত পাননি সাম্বিয়া। তার মধ্যেই ওই ঘটনা। যার পর মজিদ জামালের বাড়ি চিনিয়ে দিতেই অস্বীকার করছেন বহু পড়শি।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, বৃহস্পতিবার রাতেই পাড়ার পলাতক জামাইয়ের খোঁজ করতে মজিদ জামালের বাড়িতে একদল লোক কড়া নেড়ে যায়। লালবাজার সূত্রের খবর, বিশেষ তদন্তকারী দলের সদস্যরাই গিয়েছিলেন সেখানে। তার পর আরও গুটিয়ে গিয়েছেন বাসিন্দারা।

শুক্রবার মদিজ জামালের বাড়ি তালা বন্ধ। এঁরা কেউ বাড়িতে নেই?

মাথা নেড়ে এক পড়শির দাবি, ‘‘আমি কাউকে চিনি না!’’ আর এক জন বললেন, ‘‘পুলিশের আনাগোনা বিপজ্জনক। কখন কাকে ধরে নিয়ে যায়!’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘ফৌজি অফিসার খুন হয়েছেন বলে কথা।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন