ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো।—ফাইল চিত্র।
চূড়ান্ত পরীক্ষার ক্ষেত্রে আরও এক ধাপ পেরোলো ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো।
ওই মেট্রোয় যে রেক চলবে, বৃহস্পতিবার সেগুলির ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক কম্প্যাটিবিলিটি (ইএমসি) এবং ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ইন্টারফিয়ারেন্স (ইএমআই) পরীক্ষা সন্তোষজনক ভাবে সম্পূর্ণ হয়েছে।
কী আছে ওই দুই পরীক্ষায়? ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো সূত্রের খবর, কোনও বৈদ্যুতিক যন্ত্র থেকে আসা তড়িৎ চুম্বকীয় বিকিরণের একটি সীমা রয়েছে। বিকিরণ সীমা অতিক্রম করলে তা কাছাকাছি থাকা অন্য যন্ত্রের কাজে ব্যাঘাত ঘটায়। মেট্রোর রেকে প্রচুর সুইচ এবং স্বয়ংক্রিয় সার্কিট থাকে। সেগুলি থেকে বেরোনো তড়িৎ চুম্বকীয় বিকিরণ বেশি হলে তা সিগন্যালিং-সহ অন্যান্য স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার কাজে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। এমনকি, ওই বিকিরণ সীমা অতিক্রম করলে সিগন্যাল আচমকা রং পরিবর্তন করতে পারে। ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে।
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর রেকগুলি পরীক্ষার সময়ে ফেব্রুয়ারিতে ওই ত্রুটি ধরা পড়েছিল। সময় নিয়ে তা মেরামত করা হয়। সূত্রের খবর, ৪ ডিসেম্বর থেকে স্পেনের একদল প্রযুক্তিবিদ ওই পরীক্ষা চালিয়েছেন। ইস্ট-ওয়েস্টের রোলিং স্টক দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার অন্যতম ডিরেক্টর অনুপকুমার কুণ্ডু বলেন, ‘‘পরীক্ষার ফল সন্তোষজনক। তা বিশ্লেষণের জন্য রেলের গবেষণা সংস্থা রিসার্চ ডিজাইন্স অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অর্গানাইজেশন (আরডিএসও)-এ পাঠানো হচ্ছে।’’ ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচের দুলুনি পরীক্ষার জন্য অসিলেশন টেস্ট সফল ভাবে মিটেছে। হয়েছে ‘অ্যাক্সল-কাউন্টার’ পরীক্ষাও। সব কিছু ঠিক থাকলে নতুন বছরের গোড়ায় সেক্টর ফাইভ থেকে সল্টলেক স্টেডিয়ামের মধ্যে এই মেট্রো চালু হতে পারে।