Online Fraud

অনলাইনে প্রতারিত প্রৌঢ়, টাকা ফেরত এক মাসে

বৃহস্পতিবার প্রতারণা করে তুলে নেওয়া টাকার পুরোটাই ফেরত আসে পঞ্চাশোর্ধ্ব ওই ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ জুন ২০২০ ০৩:৫৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

অনলাইনে প্রতারণা করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে নেওয়া টাকা ফেরত এল এক মাস পরে। হাওড়ার লিলুয়ার এক বাসিন্দা মে মাসের প্রথম দিকে অভিযোগ জানিয়েছিলেন, ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের ভুয়ো পরিচয় দিয়ে ফোন করে তাঁর ডেবিট কার্ডের তথ্য এবং ওটিপি জেনে নিয়ে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। দ্রুত ইমেলের মাধ্যমে সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ করেছিলেন প্রতারিত ব্যক্তি। হাওড়া সিটি পুলিশ সূত্রের খবর, করোনা অতিমারির সুযোগ নিয়ে সক্রিয় হয়ে উঠেছে ব্যাঙ্ক প্রতারণার চক্র। বেড়ে গিয়েছে সাইবার ক্রাইমের ঘটনা। গত তিন মাসে একের পর এক ব্যাঙ্ক প্রতারণার ঘটনায় উদ্বিগ্ন পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, অসীমকুমার দাস নামে লিলুয়ার বাসিন্দা এক ব্যক্তি মে মাসে অভিযোগ করেন, ভুয়ো পরিচয় দিয়ে তথ্য জেনে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ৪৯ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, একটি অনলাইন মাধ্যমের দ্বারা ওই টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। সেই সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে জানানো হয়, লেনদেনটি অবৈধ। অবিলম্বে ওই টাকা নির্দিষ্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয় পুলিশের তরফে। তার পরেও এক মাস লেগে যায় ওই সংস্থা নানা টালবাহানা করায়। শেষে বৃহস্পতিবার প্রতারণা করে তুলে নেওয়া টাকার পুরোটাই ফেরত আসে পঞ্চাশোর্ধ্ব ওই ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে।

হাওড়া সাইবার ক্রাইম দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘লকডাউনের সময়ে এই ভাবে অনেক ব্যাঙ্ক প্রতারণার অভিযোগ জমা পড়েছে। এই সময়ে অনলাইনে লেনদেন বেড়ে যাওয়ার সুযোগ নিচ্ছে প্রতারকেরা।’’ পুলিশ জানিয়েছে, কখনও ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বা কর্মীর ভুয়ো পরিচয় দিয়ে ফোন করা হচ্ছে গ্রাহকদের। প্রবীণ গ্রাহকদেরই এই সব ক্ষেত্রে বেশি নিশানা করছে প্রতারকেরা। লকডাউনের জেরে অনেকে সরাসরি সাইবার থানায় অভিযোগ না-জানাতে পারায় তদন্ত শুরু করতে দেরিও হচ্ছে। ফলে হাতিয়ে নেওয়া টাকা সহজে ফেরত পাওয়া যাচ্ছে না। তদন্তকারীদের বক্তব্য, থানায় না-আসতে পেরে অনেক প্রতারিত প্রথমে ফোনে যোগাযোগ করে এবং তার পরে ইমেলে অভিযোগ জানিয়েছেন। যাঁরা দ্রুত জানাতে পেরেছেন, তাঁদের অভিযোগের সঙ্গে সঙ্গে তদন্ত শুরু হয়েছে।

Advertisement

এক তদন্তকারী বলেন, ‘‘তদন্ত শুরু করার জন্য টাকা তোলার ট্রানজ়াকশন আইডি প্রয়োজন। ওই আইডি খতিয়ে দেখে টাকা কোথায় গিয়েছে, সেখানে মেল করে পুরো টাকা ফেরত দিতে বলা হয়। কিন্তু দেরি হয়ে গেলে সমস্যা বেড়ে যায়।’’

অতিমারির সময়ে সাইবার ক্রাইম বেড়ে যাওয়ায় হাওড়া সিটি পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের ফেসবুক পেজে ইতিমধ্যেই বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, গ্রাহকদের ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের বিস্তারিত তথ্য চায় না কোনও ব্যাঙ্কই। তথ্য চেয়ে কোনও ফোন এলে, কিছু না-জানাতে বলা হয়েছে বাসিন্দাদের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন