আমিনা বেগম।
অনুপ্রবেশকারী বিতর্কে গোটা দেশ যখন উত্তাল, তখন মানবিকতার সূত্রেই যেন মিলে গেল দুই বাংলা। ঘটনাস্থল কলকাতা।
বাংলাদেশ থেকে এসে সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছিলেন এক বৃদ্ধা। তাঁর পাশে দাঁড়ায় এন্টালি থানার পুলিশ। আঠেরো দিন কলকাতা পুলিশ ওই বৃদ্ধাকে হোমে রাখে। সম্প্রতি তিনি ফিরে গিয়েছেন ঢাকার বাড়িতে। বুধবার টেলিফোনে উচ্ছ্বসিত বৃদ্ধা বলেন, ‘‘দেশ আলাদা হলেও পুলিশের ভূমিকায় এটা প্রমাণ হল যে মানবিকতা আজও আছে।’’
পুলিশ জানায়, ঢাকার মতিঝিল এলাকার বাসিন্দা আমিনা বেগম (৭০) ১৩ জুলাই অজমেঢ় শরিফ যাবেন বলে বাংলাদেশ থেকে বেনাপোল হয়ে শিয়ালদহ স্টেশনে নামেন। ওই দিন অজমেঢ়গামী ট্রেন ছাড়তে দেরি থাকায় তিনি বড়বাজারে এক আত্মীয়ের বাড়ি যাওয়ার জন্য বাসে উঠেছিলেন। পুলিশ জানায়, নামার সময়ে তিনি ব্যাগ নামাতে ভুলে যান। তিনি শিয়ালদহ স্টেশনে ফিরে এলে রেল আধিকারিকেরা তাঁকে এন্টালি থানায় যোগাযোগ করতে বলেন। রাতেই থানায় ঘটনাটি জানান তিনি। পুলিশ তাঁর অসহায় অবস্থা বুঝে প্রথমে তাঁকে হোমে রাখার ব্যবস্থা করে। এর পরে বাংলাদেশ হাইকমিশনে যোগাযোগ করা হলে তারা বৃদ্ধার ছবি মতিঝিল থানায় পাঠায়। ইতিমধ্যে ফরেনার রিজিয়োনাল রেজিস্ট্রেশন অফিসে (এফআরআরও) পুলিশের তরফে যোগাযোগ করা হয়। জানা যায়, বৃদ্ধা বৈধ নথি নিয়েই এ দেশে এসেছিলেন।
এন্টালি থানার সাব ইনস্পেক্টর অমিতকুমার ঘোষ ও মনোজ বিশ্বাসের প্রচেষ্টায় বৃদ্ধার ডুপ্লিকেট পাসপোর্ট, ভিসার ব্যবস্থা করে সোমবার সকালেই ধর্মতলা থেকে বাংলাদেশগামী বাসে তুলে দেওয়া হয়। এ দিন ফোনে আমিনাদেবী বলেন, ‘‘জানেন, পুলিশ অফিসারেরা শুধু নিজেদের টাকায় আমাকে বাড়ি পাঠাননি! ওঁরা একটি দামি শাড়িও উপহার দিয়েছেন।’’