Death

রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার প্রৌঢ়ার মৃত্যু হাসপাতালে, পুলিশের সন্দেহ খুন

পুলিশ জানিয়েছে, পরিজনদের সঙ্গে কথা বলে কিছু সূত্র পাওয়া গিয়েছে। মৃতার এক আত্মীয়া সীমা পাল পুলিশকে জানিয়েছেন, বাগান পরিষ্কারের জন্য এক ব্যক্তিকে ডেকেছিলেন মুনমুন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২২ ০৮:২৬
Share:

মুনমুন পাল। নিজস্ব চিত্র।

রক্তাক্ত অবস্থায় এক প্রৌঢ়াকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল হাসপাতালে। তাঁর আঘাতের ধরন দেখে দ্রুত খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। কিছু ক্ষণ পরেই ওই প্রৌঢ়াকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ওই প্রৌঢ়াকে খুন করা হয়েছে। তাঁর পরিবারও তেমনই অভিযোগ করেছে।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম মুনমুন পাল (৬২)। দক্ষিণ দমদমের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের ছাতাকল এলাকার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। স্বামী অমলকৃষ্ণ পালের সঙ্গে একটি বাড়ির দোতলায় থাকতেন তিনি। অমলকৃষ্ণ আইআরএস-এর প্রাক্তন কর্মী। পুলিশ সূত্রের খবর, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, শনিবার বিকেল ও সন্ধ্যার মাঝে গোঁ গোঁ আওয়াজ শুনে পাশের বাড়ি থেকে মুনমুনের পরিজনেরা এসে দেখেন, গ্যারাজের মেঝেয় তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। তাঁর মাথা থেকে রক্ত পড়ছিল। দ্রুত তাঁকে দক্ষিণ দমদমের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এক আত্মীয়া পুলিশকে জানিয়েছেন, তখন পালস থাকলেও মুনমুন অচৈতন্য ছিলেন। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশের অনুমান, মহিলার মাথায় কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল। পরে তাঁর দেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়। শনিবার রাতেই প্রৌঢ়ার বাড়িতে তদন্তে যায় পুলিশ। পাল দম্পতির দুই মেয়ে ভিন্‌ রাজ্য ও বিদেশে থাকেন। তাঁদের খবর দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, পরিজনদের সঙ্গে কথা বলে কিছু সূত্র পাওয়া গিয়েছে। মৃতার এক আত্মীয়া সীমা পাল পুলিশকে জানিয়েছেন, বাগান পরিষ্কারের জন্য এক ব্যক্তিকে ডেকেছিলেন মুনমুন। তিনি কাজ করে চলে যাওয়ার কিছু পরেই প্রৌঢ়াকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ওই প্রৌঢ়া হাতে চুড়ি পড়ে থাকতেন, সেটি মিলছে না। যদিও তাঁর গলার গয়নাটি ছিল। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, বাইরে থেকে আসা ওই ব্যক্তি গয়না লুট করার চেষ্টা করে। বাধা দিলে সম্ভবত কোনও ধারালো অস্ত্র দিয়ে মহিলার মাথায় আঘাত করা হয়। যদিও এই অনুমানের সপক্ষে রবিবার রাত পর্যন্ত কোনও প্রমাণ হাতে আসেনি পুলিশের।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন