SIR in West Bengal

মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর নিরাপদ স্থানে সরানো হোক! কলকাতার সিপিকে ফের চিঠি কমিশনের

এর আগে বুধবার মনোজ বর্মাকে চিঠি দিয়েছিল কমিশন। ওই চিঠিতে রাজ্য সিইও দফতরের আধিকারিক এবং কর্মীদের নিরাপত্তারক্ষায় যথাযথ পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২৫ ২২:৫০
Share:

(বাঁ দিকে) কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।

কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে শুক্রবার আবার চিঠি দিল নির্বাচন কমিশন। তাদের দাবি, রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও)-এর দফতরকে উপযুক্ত এবং নিরাপদ জায়গায় স্থানান্তরিত করতে হবে। বর্তমান দফতর এবং নতুন দফতর, দুই জায়গাতেই সম্পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে বলে কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মাকে জানিয়েছে কমিশন।

Advertisement

অন্য দিকে, অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিক সুব্রত গুপ্তকে বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর)-এর বিশেষ পর্যবেক্ষক হিসাবে নিয়োগ করেছে নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের ২৪ নির্বাচনী জেলায় ১২ জন আইএএস আধিকারিককে নিয়োগ করেছে তারা। পর্যবেক্ষক হিসাবে তাঁদের নিয়োগ করা হয়েছে। ভোটার তালিকা তৈরির উপর নজরদারি চালাবেন ওই আধিকারিকেরা।

এর আগে বুধবার মনোজ বর্মাকে চিঠি দিয়েছিল কমিশন। ওই চিঠিতে রাজ্য সিইও দফতরের আধিকারিক এবং কর্মীদের নিরাপত্তারক্ষায় যথাযথ পদক্ষেপ করতে বলা হয়। তাঁদের বাড়ি এবং যাতায়াতের পথেও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা বলে কমিশন। চিঠি পাওয়ার পর কী পদক্ষেপ করা হল, তা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট (অ্যাকশন টেকশন রিপোর্ট) আকারে জমা দিতে বলা হয়।

Advertisement

‘মাত্রাতিরিক্ত কাজের চাপের’ প্রতিবাদে সোমবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়ালের দফতরে বিক্ষোভ দেখান বিএলও-দের একাংশ। বিক্ষোভকারী বিএলও-রা রাজ্যের সিইও মনোজের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু অ্যাপয়েন্টমেন্ট না-থাকায় দেখা করতে রাজি হননি সিইও। তার পর ‘বিএলও অধিকার রক্ষা কমিটি’-র ১৩ জন সদস্য রাতভর ধর্না চালিয়ে যান। যদিও অভিযোগ, তৃণমূলপন্থী ওই সংগঠনটির তরফে যাঁরা অবস্থানে বসেছিলেন, তাঁদের অধিকাংশই বিএলও নন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুরুলিয়ার তিন বিএলও-র সঙ্গে দেখা করেন সিইও। বাকি আন্দোলনকারীরা অতিরিক্ত সিইও-র কাছে দাবিপত্র দিয়ে ধর্না তুলে নেন। বিএলও-দের অবস্থানের জেরে মধ্যরাত পর্যন্ত নিজের দফতরেই আটকে পড়তে হয়েছিল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে। সোমবারের ঘটনাকে সিইও দফতরের নিরাপত্তা লঙ্ঘন হিসাবেই দেখছে কমিশন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement