প্রতীকী ছবি।
বাজার থেকে মাছ কিনে বাড়ি ফিরেছেন শ্যামল রায়। ব্যাগ থেকে মাছ বেরোতেই স্ত্রী বলে উঠলেন, মাছের ওজন কম। মানতে নারাজ শ্যামলবাবু জানান, বাজার থেকে দাঁড়িপাল্লায় মেপে দেড় কিলো ওজনের মাছ কিনেছেন তিনি।
এটাই বাস্তব ছবি দক্ষিণ দমদম পুর এলাকার। অনেক বাসিন্দারই অভিযোগ, দক্ষিণ দমদম এলাকার বাজারগুলিতে ওজন যন্ত্রের সমস্যা রয়েছে। এই অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। দাঁড়িপাল্লায় মাছ ও আনাজের যে ওজন ক্রেতারা দেখে জিনিস কেনেন তা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সঠিক হয় না বলে দাবি ক্রেতাদের।
এ বার তাই প্রতিটি বাজারে বৈদ্যুতিন ওজন মাপার যন্ত্র বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দক্ষিণ দমদম পুর কর্তৃপক্ষ। চলতি সপ্তাহের সোমবার, পুরসভায় কাউন্সিলরদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, কাউন্সিলর প্রবীর পাল পুর বৈঠকে এই প্রস্তাব দিয়েছেন।
দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ (জনস্বাস্থ্য) দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, প্রতিটি বাজারে পুরসভার জনস্বাস্থ্য দফতর থেকে বৈদ্যুতিন ওজন মাপার যন্ত্র বসানো হবে। ক্রেতারাও ওই যন্ত্রে তাঁদের কেনা জিনিসের ওজন পরীক্ষা করে নিতে পারবেন। তবে কোনও ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও কতটা কড়া পদক্ষেপ করা হবে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন বাসিন্দাদের একাংশ। দেবাশিসবাবু জানান, যদি দেখা যায়, কেউ কম ওজনের জিনিস দিচ্ছেন সে ক্ষেত্রে প্রথমে ওই ব্যবসায়ীকে সতর্ক করা হবে। তার পরেও একই জিনিস ঘটলে অভিযুক্ত ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করবে দক্ষিণ দমদম পুর কর্তৃপক্ষ।
বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, ওজনে কম দিলে পুর প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করা এবং তার সেই সমস্যার সুরাহা হওয়ার বিষয়টি যথেষ্ট সময় সাপেক্ষ। বৈদ্যুতিন ওজন যন্ত্র বসানো হলে সেই সমস্যা মিটবে বলে বাসিন্দাদের আশা।
পুরসভা সূত্রের খবর, প্রতি বাজারে এক জন পুর প্রতিনিধি থাকবেন। পাশাপাশি স্থানীয় কাউন্সিলরও দেখবেন এই বিষয়টি। এর ফলে এক দিকে যেমন ব্যবসায়ীদের সচেতন করা হবে। তেমনই ক্রেতাদের অভিযোগ দ্রুত মেটানো সম্ভব হবে। তবে পুরকর্তাদের একাংশের দাবি, এই প্রকল্প শুরু হলেই ব্যবসায়ীরা সতর্ক হয়ে যাবেন।