মেট্রোয় বসবে ইমার্জেন্সি দরজা

মাঝপথে, এমনকী সুড়ঙ্গে আটকে গেলেও মেট্রোযাত্রীদের আর কামরার মধ্যে দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকতে হবে না। চালকের কেবিনের পাশাপাশি মাঝের আরও চারটি কামরায় আপৎকালীন (ইমার্জেন্সি) দরজা ও সিঁড়ি তৈরি করে রাখার পরিকল্পনা করেছেন মেট্রো-কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০১৭ ০০:০৭
Share:

মাঝপথে, এমনকী সুড়ঙ্গে আটকে গেলেও মেট্রোযাত্রীদের আর কামরার মধ্যে দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকতে হবে না। চালকের কেবিনের পাশাপাশি মাঝের আরও চারটি কামরায় আপৎকালীন (ইমার্জেন্সি) দরজা ও সিঁড়ি তৈরি করে রাখার পরিকল্পনা করেছেন মেট্রো-কর্তৃপক্ষ। যাতে কামরা থেকে বেরিয়ে আসতে সময় আরও কম লাগে।

Advertisement

পরপর দু’বছর দু’বার সুড়ঙ্গে আটকে গিয়েছিল মেট্রো। এক বার ময়দান ও পার্ক স্ট্রিটের মাঝে, আর এক বার বেলগাছিয়া ও শ্যামবাজারের মাঝখানে। প্রথম বার দীর্ঘক্ষণ, পরের বার সময়টা কম হলেও যাত্রীরা এমন একটা জায়গায় আটকে পড়েছিলেন, যেটা মেট্রোর সুড়ঙ্গপথে ‘ডেঞ্জার জোন’ হিসেবে চিহ্নিত। দু’টি ঘটনাতেই বাতানুকূল রেকে আটকে পড়া যাত্রীদের রেক থেকে বার করে আনতে হিমশিম অবস্থা হয় মেট্রো কর্মীদের। তীব্র সমালোচনার মুখেও পড়তে হয় কর্তৃপক্ষকে। যাত্রীদের বার করে আনতে বেশি সময় লাগার প্রধান কারণ ছিল মেট্রো রেকে ইমার্জেন্সি দরজা কম থাকা।

আরও পড়ুন

Advertisement

অকালবৃষ্টির শহরে মিছিল-অবরোধ, যানজটে ‘বন্ধু’ হল পুলিশ

মেট্রোকর্তাদের বক্তব্য, নয়া ব্যবস্থায় সুড়ঙ্গে ট্রেন আটকে গেলেও যাত্রীরা জলদি বেরিয়ে আসতে পারবেন। কোথায় ওই অতিরিক্ত দরজা এবং সিঁড়ি থাকছে, কামরার ভিতরে তা লিখে যাত্রীদের জানিয়ে দেওয়া হবে।

মেট্রোকর্তারা জানান, আপাতত পরীক্ষামূলক ভাবে একটি রেকে ওই ব্যবস্থা চালু হচ্ছে। ওই ট্রেনটি সাত দিন চালানো হবে। পরে দেখেশুনে বাকি সব ক’টি রেকেই ওই ব্যবস্থা চালু করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মেট্রোকর্তারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন