Tallah Bridge

টালা সেতুতে ভিড় ঠেকানোর সিদ্ধান্ত বৈঠকে

গত পয়লা ফেব্রুয়ারি টালা সেতু ভাঙার কাজ শুরু হওয়ার পরে দেখা গিয়েছে, স্থানীয় অনেকেই কাজ দেখতে সেখানে ভিড় জমাচ্ছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০১:১৮
Share:

ফাইল চিত্র।

অত্যুৎসাহী কিছু মানুষের ভিড়ে টালা সেতু ভাঙার কাজে অসুবিধা হচ্ছে। তাই তাঁদের রুখতে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার বলে মনে করছেন সেতু ভাঙার কাজে যুক্ত ইঞ্জিনিয়ারেরা। তাই সেতু ভাঙার সময়ে কেউ যাতে ওই এলাকায় না যান, তা দেখতে বলা হচ্ছে পুলিশকে।

Advertisement

শুক্রবার টালা সেতু নিয়ে কলকাতা পুর ভবনে একটি জরুরি বৈঠকে মেয়র তথা পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, পূর্তমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস-সহ পুরসভা এবং পূর্ত দফতরের পদস্থ ইঞ্জিনিয়ার এবং পুলিশের পদস্থ কর্তারা হাজির ছিলেন। গত পয়লা ফেব্রুয়ারি টালা সেতু ভাঙার কাজ শুরু হওয়ার পরে দেখা গিয়েছে, স্থানীয় অনেকেই কাজ দেখতে সেখানে ভিড় জমাচ্ছেন। ফলে নির্বিঘ্নে কাজ করা যাচ্ছে না। সেই প্রসঙ্গ তুলে এ দিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, নিরাপত্তার কারণেই সেতুর কাছে আর কাউকে ঘেঁষতে দেওয়া হবে না। এ ব্যাপারে পুলিশকে কড়া নজর রাখতে বলা হয়েছে। টালা সেতুর পাশের ফুটব্রিজটি নতুন করে তৈরি করা প্রয়োজন বলেও বৈঠকে প্রস্তাব ওঠে। এ নিয়ে এক নম্বর বরোর চেয়ারম্যান তরুণ সাহার বক্তব্য, ‘‘ওই ফুটব্রিজ দিয়েই স্থানীয়েরা টালা সেতু পার হতেন। তাই সেটি বন্ধ হওয়ায় অনেকেরই অসুবিধা হচ্ছে।’’ পুরসভা সূত্রের খবর, ১৩ জোড়া রেললাইনের উপর দিয়ে ওই ফুটব্রিজ ফের তৈরি করতে রেলের অনুমতি নিতে হবে। যদিও মেয়র বলেন, ‘‘মাঝেরহাটে দু’জোড়া লাইনের উপরেই অনুমতি পাওয়া যাচ্ছে না।’’ তবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনুমোদনের জন্য রেল কতৃর্পক্ষের কাছে চিঠি পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এ দিনের বৈঠকে মাঝেরহাট সেতুর রাস্তা নিয়েও আলোচনা হয়। রেলের একটি কাজের জন্য মাঝেরহাট সেতুর কাছে ডায়মন্ড হারবার রোডের একাংশ সাময়িক ভাবে বন্ধ করতে হবে। ফলে বিকল্প পথ হিসেবে কাঁটাপুকুরের উপর দিয়ে নতুন রাস্তা করছে পূর্ত দফতর, তা গার্ডেনরিচ উড়ালপুলের সঙ্গে গিয়ে মিশবে। এ ছাড়া কাশীপুর সেতুর নীচেও স্তম্ভ তৈরির কথা রয়েছে। তার আগে সেতুর নীচে বসবাসকারী ২০০টি পরিবারকে পুনর্বাসন দেওয়া প্রয়োজন। যদিও সেই কাজ কে করবে, তা এখনও ঠিক হয়নি।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন