উপাচার্যকে বাড়ি যেতে না দিয়ে ক্যাম্পাসেই আটকে রাখল যাদবপুরের পড়ুয়ারা। —নিজস্ব চিত্র
শিক্ষামন্ত্রীর সিদ্ধান্তকেই কার্যত সিলমোহর দিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। স্নাতকস্তরে প্রবেশিকা, নাকি মেধার ভিত্তিতে ভর্তি, দীর্ঘ দিন ধরেই সিদ্ধান্ত নিতে পারছিল না যাদবপুর কর্তৃপক্ষ।
বুধবার কর্মসমিতির বৈঠকের পর রেজিস্ট্রার চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানিয়ে দিলেন, “প্রবেশিকা পরীক্ষা নয়, এ বছর উচ্চমাধ্যমিকের নম্বরের ভিত্তিতেই পড়ুয়াদের ভর্তি নেওয়া হবে।” তার সঙ্গে এ-ও জানিয়ে দেন, কী ভাবে ভর্তি নেওয়া হবে, তা নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের কোনও মতামত থাকতে পারে না। এর পরই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর উত্তপ্ত হয়ে উঠে। উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা। তাঁদের দাবি, শিক্ষামন্ত্রীর ইচ্ছেকেই কার্যত মেনে নিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: ‘আমাদের কী হবে’? শিক্ষামন্ত্রীর অনলাইন নির্দেশেও আতান্তরে বহু ছাত্রছাত্রী
মঙ্গলবার শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, কিছু বিষয়ে মেধার ভিত্তিতে ভর্তি, আর কিছু বিষয়ে প্রবেশিকা ঠিক নয়। ভর্তির ক্ষেত্রে একটাই নিয়ম হওয়া উচিত।
আরও পড়ুন: হোর্ডিং দিয়ে ক্ষমা চাইবে পুরসভা
শিক্ষামন্ত্রী বরবারই নম্বরের ভিত্তিতে ভর্তির পক্ষে। তাই কলা বিভাগের বাংলা, ইংরেজি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ইতিহাস, দর্শন, তুলনামূলক সাহিত্যে ভর্তি-পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি জারি করার পরও, পিছিয়ে আসতে হয় যাদবপুরকে। গঠিত হয় অ্যাডমিশন কমিটি। অবশেষে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে জানিয়ে দেওয়া হল, নম্বরের ভিত্তিতেইভর্তি নেওয়া হবে। এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার চিরঞ্জীব ভট্টাচার্যের সঙ্গে একমত ছিলেন না শিক্ষক সংগঠন জুটার সদস্যরা। প্রবেশিকায় বাইরের হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করে শঙ্খ ঘোষ, নবনীতা দেবসেন, সুকান্ত চৌধুরী, সুপ্রিয়া চৌধুরী, অশোকনাথ বসু, অশোকরঞ্জন ঠাকুর, সিদ্ধার্থ দত্ত, তপনকুমার ঘোষাল, শুভা চক্রবর্তী দাশগুপ্ত, আনন্দদেব মুখোপাধ্যায়, সৌরীন ভট্টাচার্য ও তপনকুমার ঘোষাল সরব হয়েছেন। তাদের সই করা একটি স্মারকলিপিও জমা পড়েছে যাদবপুরে।