বালিতে প্রাক্তন ফুটবলারকে হেনস্থা

বিরোধের মূলে একটিই প্রশ্ন। রাস্তা, তুমি কার? ব্যক্তি বিশেষ নাকি জনগণের! এই বিবাদের জেরে বালির নিশ্চিন্দার দেওয়ানচক তল্লাটে এক প্রাক্তন জাতীয় ফুটবলার ও তাঁর পরিবারকে হেনস্থার অভিযোগ উঠল স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০১৬ ১৯:২৩
Share:

এই সেই ফুটবলার।

বিরোধের মূলে একটিই প্রশ্ন। রাস্তা, তুমি কার? ব্যক্তি বিশেষ নাকি জনগণের! এই বিবাদের জেরে বালির নিশ্চিন্দার দেওয়ানচক তল্লাটে এক প্রাক্তন জাতীয় ফুটবলার ও তাঁর পরিবারকে হেনস্থার অভিযোগ উঠল স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনা শনিবার রাতের। অবশ্য এই ব্যাপারে দু’পক্ষই পুলিশের কাছে পরস্পরের বিরুদ্ধে হেনস্থা ও হুমকির দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, জাতীয় দলের প্রাক্তন ফুটবলার সত্যব্রত ভৌমিকের বাড়ির পাশের একটি রাস্তা ব্যবহার করা নিয়ে তাঁর সঙ্গে প্রতিবেশী গণেশ মজুমদারের সঙ্গে বিরোধ হয়। সত্যব্রতবাবুর অভিযোগ, রাস্তাটি তাঁদের পরিবারের ব্যক্তিগত মালিকানার। কিন্তু স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা বালি-জগাছা পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ পরিমল চক্রবর্তী সেটিকে সরকারি রাস্তা বলে দাবি করেন ও অন্যদের ব্যবহারের অনুমতি দেন। শনিবার এই নিয়েই গণ্ডগোল তীব্র আকার নেয়।

রবিবার সত্যব্রতবাবু দাবি করেন, ‘‘বাড়িতে ছিলাম না। আমার দাদা আমাকে টেলিফোন করে ফোন করে জানায়, রাস্তা নিয়ে ঝামেলা হচ্ছে। তৃণমূলের ছেলেরা মারধর করছে।’’ মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল, দু’টি বড় দলেই খেলা সত্যব্রতবাবুর আরও অভিযোগ, শনিবার রাতে স্থানীয় তৃণমূল পার্টি অফিসে অভিযোগ জানাতে গেলে তাঁকে ঘণ্টা তিনেক আটকে রেখে নানা অশ্লীল কথা বলা হয় ও হুমকি দেওয়া হয়। তাঁর কথায়, ‘‘আমি স্থানীয় বিধায়ক ও মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করে আগেই খবর দিয়েছিলাম। ব্যবস্থা নেবেন বলে তিনি আমাকে আশ্বাসও দেন।’’ সত্যাব্রতবাবুর আরও অভিযোগ, মন্ত্রীকে জানানোর ‘অপরাধেই’ তাঁকে লহেনস্থা করা হয়েছে।

Advertisement


এই রাস্তা নিয়েই বিতর্ক।

যদিও অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা পরিমল চক্রবর্তীর পাল্টা দাবি, করেন সত্যব্রতবাবুর দাদা সুব্রতবাবুই প্রতিবেশীদের রাস্তা ব্যবহার করতে না দিয়ে তাঁদের মারধর করেন। পরিমলবাবুর কথায়, ‘‘সত্যব্রত আমার বৃদ্ধা মাকে হুমকি দেন। আবার এক পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ি গিয়ে তাঁর স্ত্রীকে হুমকি দেন।’’ কিন্তু পার্টি অফিসে প্রাক্তন ফুটবলারকে আটকে রাখা হল কেন?

পরিমলবাবু বলেন, ‘‘কেন আটকে রাখব? উনিই তো পার্টি অফিসে এসে গালিগালাজ করছিলেন। ধাক্কাধাক্কিও করছিলেন।’’ স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অন্যায় করলে কাউকেই প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। পুলিশ তদন্ত করছে। যে দোষী, সে শাস্তি পাবে।’’

ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন