এজলাসে মেয়ের সঙ্গে একান্তে কথা শোভনের

প্রায় এক বছর পরে কথা হল বাবা-মেয়ের। সৌজন্যে আলিপুর আদালতের ষষ্ঠ অতিরিক্ত দায়রা বিচারক পার্থসারথি চক্রবর্তী। মঙ্গলবার তাঁর এজলাসেই শুনানি ছিল প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় ও রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বিবাহবিচ্ছেদ মামলার। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৩:৪৪
Share:

কাছে-দূরে: বিবাহবিচ্ছেদ মামলার শুনানিতে মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে শোভন চট্টোপাধ্যায়। পাশেই বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে শোভন-পত্নী রত্না চট্টোপাধ্যায়। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক

প্রায় এক বছর পরে কথা হল বাবা-মেয়ের। সৌজন্যে আলিপুর আদালতের ষষ্ঠ অতিরিক্ত দায়রা বিচারক পার্থসারথি চক্রবর্তী। মঙ্গলবার তাঁর এজলাসেই শুনানি ছিল প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় ও রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বিবাহবিচ্ছেদ মামলার।

Advertisement

এ দিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ মেয়েকে নিয়ে আদালতে আসেন রত্না। বসেছিলেন এজলাসেই। কিছু ক্ষণ পরে বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে এসে আদালতে বাইরে বারান্দায় অপেক্ষা করতে থাকেন শোভন। পৌনে এগারোটায় বিচারক এজলাসে এলে রত্না আর্জি জানান, মেয়ে তার বাবার সঙ্গে দেখা করতে চায়। এর পরেই এজলাসে আসেন শোভন। জানান, মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে তাঁর কোনও আপত্তি নেই। তখন এজলাস ছেড়ে চলে যান রত্না। এজলাসের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। বারান্দাতেই অপেক্ষা করেন রত্না ও বৈশাখী।

মেয়ে সুহানির সঙ্গে এ দিন প্রায় পনেরো মিনিট কথা বলেন শোভন। কী কথা হল তা অবশ্য সাংবাদিকদের বলতে চাননি তিনি। অন্য দিকে রত্না বলেন, ‘‘মেয়ে আমায় বলেছে, বাবাকে আমি জড়িয়ে ধরেছি। বাবাও আমাকে জড়িয়ে ধরেছি। পড়াশোনা-সহ নানা অনেক বিষয় কথা বলেছে। আমি বাবাকে বলেছি, তুমি বাড়ি চলো। বাবা কিছু বলল না। আমি বলেছি, প্রতি মাসে একবার দেখা করব। বাবা মাথা নেড়েছে।’’

Advertisement

রত্না আরও বলেন, ‘‘শোভনবাবু আমার সঙ্গে সর্ম্পক রাখতে চান না। কিন্তু ছেলে-মেয়ের সঙ্গে সর্ম্পক রক্ষা করুন। ওদের তো কোনও দোষ নেই। প্রায় এক বছর হয়ে গেল শোভনবাবু বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছেন। তার পর ভাই-বোন বেশ কয়েক বার গোলপার্কের বাড়িতে গিয়েছিল । কিন্তু শোভনবাবু দেখা করেননি। বাবার সঙ্গে দেখা করতে না পেরে ছেলে-মেয়ে মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করেছিল। আমি ওদের মনোবিদের কাছে নিয়ে গিয়েছিলাম।’’

এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে শোভনের মন্তব্য, ‘‘রত্না ছেলে-মেয়েকে নিজের মতো ‘মোটিভেট’ করে আমার বাড়িতে পাঠাত। আর মনোবিদ দেখানো হয়েছিল কিনা তা রত্নাই বলতে পারবে। আমার কিছু বলার নেই।’’

এ দিনের শুনানিতে রত্নাকে হাজির থাকার কোনও নির্দেশ আদালত দেয়নি। তা সত্ত্বেও তিনি এলেন কেন? রত্নার জবাব, ‘‘আগের শুনানিতে শোভনবাবু অনেক কিছু বলেছেন শুনলাম। আজ, আমার চোখের দিকে তাকিয়ে মিথ্যা কথা বলতে পারেন কিনা, দেখতে এসেছিলাম।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন