Food

আধিকারিকের অভাব, ব্যাহত খাবার পরীক্ষার কাজ

গত নভেম্বর মাস থেকে তাঁদের মধ্যে ১২ জনকে ভোটের কাজে তুলে নেওয়া হয়েছে। ফলে মাত্র ১০ জন আধিকারিক নিয়েই চলছে ভেজাল পরীক্ষার কাজ।

Advertisement

মেহবুব কাদের চৌধুরী

শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৬:২৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধের জন্য কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের অধীনে রয়েছেন মাত্র ২২ জন ফুড সেফটি অফিসার। কিন্তু গত নভেম্বর মাস থেকে তাঁদের মধ্যে ১২ জনকে ভোটের কাজে তুলে নেওয়া হয়েছে। ফলে মাত্র ১০ জন আধিকারিক নিয়েই চলছে ভেজাল পরীক্ষার কাজ।

Advertisement

কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর, ২০১৪ সাল পর্যন্ত পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের অধীনে মোট ৩২ জন ফুড সেফটি অফিসার ছিলেন। সেই সংখ্যা কমতে কমতে বর্তমানে ২২-এ ঠেকেছে। শহরের বিভিন্ন হোটেল, রেস্তরাঁ, খাবারের দোকান থেকে নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা করে গুণমান যাচাইয়ের কাজ ফুড সেফটি অফিসারেরা করে থাকেন। অভিযোগ, গত নভেম্বর মাসের শেষ দিক থেকে ১২ জন নির্বাচন কমিশনের কাজে চলে যাওয়ায় খাবারের নমুনা সংগ্রহ থেকে শুরু করে পরীক্ষা করার কাজ, সবেরই ব্যাঘাত ঘটছে। আরও অভিযোগ, ফুড সেফটি অফিসারেরা না থাকায় কলকাতা পুরসভার ১৪৪টি ওয়ার্ডের অন্তর্গত বিভিন্ন খাবারের হোটেল, রেস্তরাঁর ব্যবসায়ীরা আবেদন করেও ফুড লাইসেন্স পাচ্ছেন না। পুরসভার স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, পাঁচশোর বেশি এই রকম আবেদনের ফাইল জমা হয়ে রয়েছে।

কলকাতার মতো শহরে প্রত্যেক ওয়ার্ডে কমপক্ষে এক জন করে ফুড সেফটি অফিসার থাকার কথা। কিন্তু মাত্র ২২ জন ফুড সেফটি অফিসার দিয়ে রোজকার কাজ চালাতে সমস্যা হচ্ছে বলেই খবর। পুরসভার স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, ফুড সেফটি অফিসারেরা শহরের বিভিন্ন হোটেল, রেস্তরাঁ, ফুটপাতে হানা দিয়ে খাবারের গুণমান যাচাইয়ের কাজ করে থাকেন। কিন্তু বর্তমানে কর্মী-সংখ্যা কম থাকায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই সমস্যা হচ্ছে।

Advertisement

আরও অভিযোগ, ফুড লিগ্যাল সেলে গত এপ্রিল মাস থেকে পুরসভার কোনও আইনজীবী নেই। এক ফুড সেফটি আধিকারিকের কথায়, ‘‘আইনজীবী না থাকায় অভিযুক্ত সংস্থার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করলেও তার পরে শুনানির কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। ফলে কাজের কাজই হচ্ছে না।’’

কলকাতা পুরসভার বিরোধী দলনেত্রী রত্না রায় মজুমদারের অভিযোগ, ‘‘কলকাতা পুরসভার বর্তমান পুর বোর্ড বলতে কিছু নেই। দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসকমণ্ডলীর দ্বারা পরিচালিত হওয়ায় নানা ক্ষেত্রে হোঁচট খেতে হচ্ছে। অন্য বিভাগের মতো পুর স্বাস্থ্য বিভাগের ফুড সেলের অবস্থাও সঙ্গিন।’’ কলকাতা পুরসভার শ্রমিক কর্মচারী সঙ্ঘের সাধারণ সম্পাদক অশোক সিংহের অভিযোগ, ‘‘বর্তমান পুর বোর্ডের পুরো ব্যবস্থাটাই ভেঙে পড়েছে। একেই ফুড সেফটি অফিসারদের সংখ্যা কম। তার উপরে এই গুরুত্বপূর্ণ আধিকারিকদের ভোটের কাজে পাঠানো হয়েছে! কিছুই বলার নেই।’’

যদিও এ প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের ফুড সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক বিভাকর ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘ফুড সেফটি অফিসার ভোটের কাজে গেলেও কোনও সমস্যা হচ্ছে না।’’ কলকাতা পুরসভার কমিশনার বিনোদ কুমারের কথায়, ‘‘স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন