মর্গে রাখা মৃতদেহের চোখ খুবলে নেওয়ার ঘটনা ঘিরে মঙ্গলবার গোলমাল হল এনআরএসে। সুপারের ঘরে বিক্ষোভ দেখান মৃতের পরিজনেরা। লিখিত অভিযোগ জমা দেন হাসপাতাল ও স্থানীয় থানায়। তাঁদের নিয়ে বৈঠকের পরে সুপার হাসি দাশগুপ্তের নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি তৈরি করে দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
সোমবার দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিপ্লব সর্দারের। অধ্যক্ষ দেবাশিস ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘মৃতদেহের ময়না-তদন্ত হয় মঙ্গলবার। পরিজনেরা জানান, ময়না-তদন্তের পরেও নাকি চোখ ছিল। কয়েক ঘণ্টা পরে যখন দেহ তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয়, তখন চোখ ছিল না।’’ এই ঘটনায় দু’টি আশঙ্কা কাজ করছে। প্রথমত, কোনও চক্র কি হাসপাতালের ভিতরেই সক্রিয় যারা মৃতদেহ থেকে চোখ তুলে বিক্রি করে? এ কথা উড়িয়ে দেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। দেবাশিসবাবুর কথায়, ‘‘এত কম সময়ে চোখ কী ভাবে উধাও হবে? এত পরে চোখ তুললে তা কাজে লাগবে না।’’ এনআরএসে মর্গের ইঁদুর চোখ খুবলে নিয়েছে, এই আশঙ্কাও করা হচ্ছে। অতীতে এখানে দেহ ইঁদুরে খুবলে নেওয়া ও সদ্যোজাতের চোখ আরশোলায় খুবলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অধ্যক্ষ জানান, পুরনো মর্গে ইঁদুর থাকতে পারে। সব খতিয়ে দেখা হবে।