স্কুলে চাকরি দেওয়ার নামে ‘প্রতারণা’, ধৃত ৩

চাকরি দেওয়ার নামে ২ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার হল তিন ব্যক্তি। বুধবার, সল্টলেকের জিসি ব্লকের একটি অফিস থেকে। ধৃতদের নাম চন্দন মণ্ডল, আনন্দকুমার ঘোষ এবং ইমতিয়াজ মোল্লা। তাদের বৃহস্পতিবার বিধাননগর আদালতে তোলা হলে চন্দনের ৭ দিনের পুলিশি হেফাজত এবং বাকি দু’জনের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সল্টলেক শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০১৬ ০০:৪৯
Share:

চাকরি দেওয়ার নামে ২ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার হল তিন ব্যক্তি। বুধবার, সল্টলেকের জিসি ব্লকের একটি অফিস থেকে। ধৃতদের নাম চন্দন মণ্ডল, আনন্দকুমার ঘোষ এবং ইমতিয়াজ মোল্লা। তাদের বৃহস্পতিবার বিধাননগর আদালতে তোলা হলে চন্দনের ৭ দিনের পুলিশি হেফাজত এবং বাকি দু’জনের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ হয়। ধৃতদের কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ জানায়, দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনের বাসিন্দা মুর্তাজা হক সম্প্রতি বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে ধৃত চন্দনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। মুর্তাজার অভিযোগ, প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকের চাকরি দেওয়ার জন্য চন্দন ২ লক্ষ টাকা দাবি করেন। পুলিশ সূত্রে খবর, ২৭ জুলাই চন্দনকে ৬৩টি এক হাজার টাকার নোট এবং ২৩৭টি ৫০০ টাকার নোট মিলিয়ে ২ লক্ষ টাকা দেন মুর্তাজা। এর জন্য তিনি মায়ের গয়না বন্ধক রাখেন। এর পরে চন্দনের কথা শুনে সন্দেহ হওয়ায় পুলিশে খবর দেন তিনি। পুলিশ বিধাননগরের ১২ নম্বর ট্যাঙ্কের কাছে ওই অফিসে হানা দিয়ে ধরে চন্দন ও তার দুই সঙ্গীকে।

পুলিশ জানায়, চন্দন উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার মামাভাগ্নে গ্রামের বাসিন্দা। সেখানে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করে চন্দন। আনন্দের বাড়ি টিটাগড়ের চন্দনপুকুরে এবং ইমতিয়াজের বাড়ি দুর্গাপুরের আনন্দডাঙার মুচিপাড়ায়।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের দাবি, চন্দনকে জেরা করে জানা গিয়েছে, তাদের লক্ষ্য ছিল মূলত প্রাথমিক স্কুলের টেট পরীক্ষার্থীরা। বিভিন্ন কোচিং সেন্টার থেকে পরীক্ষার্থীদের যোগাযোগের নম্বর সংগ্রহ করা হত। তার পরে ফোন করে তাঁদের চাকরির প্রলোভন দিত চন্দন। চাকরির আগে ২ লক্ষ টাকা, চাকরি পেয়ে গেলে আরও ৫ লক্ষ টাকা দাবি করা হত। ইতিমধ্যে ৮ জনের কাছ থেকে এ ভাবে ২ লক্ষ করে টাকা নিয়েছে চন্দনেরা। এ ভাবে টাকা সংগ্রহ করে ওই অফিসে জমা করত চন্দনেরা। পরীক্ষার্থী পিছু ২ লক্ষ টাকা সংগ্রহ করতে পারলে তার ২০ শতাংশ কমিশন পেত তারা।

তদন্তকারীদের দাবি, চন্দন পেশায় শিক্ষক বলে প্রতারিত বেকার যুবকদের বিশ্বাস অর্জন করতে পেরেছিল। কিন্তু সে মূল চক্রী নয়। বিধাননগরের এক পুলিশ কর্তা জানান, বড়সড় চক্র রয়েছে এর পিছনে। ধৃতেরা একটি অংশ মাত্র। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, চক্রের পিছনে এক জন প্রভাবশালীর হাত রয়েছে। প্রতারিতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই পুলিশের অনুমান। চক্রটিকে ধরতে জোরকদমে তল্লাশির কাজ শুরু করেছে বিধাননগর পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন