দু’বছরের ঘনিষ্ঠতা। এক জন দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। অন্য জন একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। একই স্কুল দু’জনেরই। কিন্তু আপত্তি পরিজনদের। অতঃপর বান্ধবীর সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে অপহরণের নাটক ফেঁদে বাবার থেকে ঘুরপথে টাকা আদায়ের চেষ্টা। তবুও শেষ রক্ষা হল না। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বাগুইআটি থানার পুলিশের হাতে ধরা পড়ে নাটকে যবনিকা টানতে বাধ্য হল ছাত্র-ছাত্রী দু’জনেই।
ভিআইপি রোডের ধারে একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের পড়ুয়া তারা। পুলিশ জানায়, বাড়ি থেকে পালিয়ে ছাত্রটি পুরনো দিঘার এক হোটেলে গা ঢাকা দিয়েছিল। একটি জাল সিমকার্ড জোগাড় করে তা থেকে নিজের অভিভাবকদের এসএমএস পাঠায় সে। তাতে লেখা ছিল, তাঁদের ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে। মুক্তিপণ বাবদ পাঁচ লক্ষ টাকা লাগবে। গত শনিবার ছাত্রটি বাড়ি ছাড়ে। রবিবার এসএমএস পেয়ে সোমবারই পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তার অভিভাবকেরা।
যে সিমকার্ড থেকে ওই ছাত্রের পরিবারের কাছে এসএমএস এসেছিল সেটির কল ডিটেল রিপোর্ট খতিয়ে দেখা শুরু করে পুলিশ। তদন্তকারীরা দেখেন ওই নম্বরটি থেকে একটি ফোন নম্বরে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ২৮ বার ফোন গিয়েছে। নম্বরটির খোঁজ করতে গিয়ে পুলিশ ওই ছাত্রীর সন্ধান পায়। এর পরে বাগুইআটি থানায় ছাত্রীটিকে ডেকে এনে চাপ দিতেই সে সব ঘটনা স্বীকার করে নেয়। সঙ্গে নিজের মোবাইল থেকে ফোন করে তার বন্ধুকে দিঘা থেকে ফিরে আসতে বলে।
সোমবার রাতেই বাগুইআটি থানার পুলিশ আধিকারিকেরা দিঘা পৌঁছে হোটেল থেকে ওই ছাত্রকে উদ্ধার করেন। মঙ্গলবার তাকে বারাসত আদালতে পাঠানো হয় গোপন জবানবন্দি দেওয়ার জন্য। তবে নাবালক হওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা হয়নি।
তদন্তকারীরা জানান, বাগুইআটি থেকে একটি জাল সিমকার্ডও সে সংগ্রহ করে ছাত্রটি। যার আসল মালিক থাকেন বাঁকুড়ার কোতুলপুরে।