আসনা সুরানা
চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়া হল ফেরারি-কাণ্ডে গুরুতর জখম আসনা সুরানাকে। পরিবার সূত্রের খবর, মঙ্গলবার দুপুরের বিমানে কলকাতা থেকে সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়া হয় আসনাকে। সন্ধ্যায় সেখানকার এক বেসরকারি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়েছে।
আসনার কাকা অতুল সুরানা সিঙ্গাপুর বিমানবন্দর থেকে ফোনে বলেন, ‘‘কলকাতার হাসপাতালের চিকিৎসা নিয়ে আমাদের কোনও অভিযোগ নেই। তবে সিঙ্গাপুরে ভাইঝিকে যেখানে ভর্তি করা হয়েছে, সেটা ট্রমা কেয়ার হাসপাতাল হিসেবে প্রথম সারির। তাই এখানেই ওকে আনা হল।’’ ওই হাসপাতালেও আপাতত ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছে আসনাকে। চিকিৎসকেরা তাকে দেখার পরে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করা হবে বলে জানিয়েছেন অতুল।
গত ৩ জুন বাবা, কাকা এবং ভাইয়ের সঙ্গে ‘লং ড্রাইভে’ বেরিয়ে গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়ে আসনা। সে তার বাবার বন্ধু, ব্যবসায়ী শিবাজী রায়ের ফেরারিতে ছিল। আসনার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ডোমজুড়ের কাছে একটি কফি শপে গিয়েছিলেন তাঁরা। ফেরার পথে পাকুড়িয়া সেতুর কাছে দুর্ঘটনায় পড়ে সাড়ে তিন কোটির ফেরারি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় গাড়িচালক শিবাজীর। আসনাকে নিয়ে যাওয়া হয় একবালপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। এত দিন সেখানেই ভর্তি ছিল সদ্য দ্বাদশ শ্রেণি উত্তীর্ণ ওই ছাত্রী। কী কারণে ওই দুর্ঘটনা, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
সোমবার একবালপুরের ওই হাসপাতালে দ্বিতীয় বার অস্ত্রোপচার হয় আসনার। তার পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, চিকিৎসকেরা গত শনিবারই আসনার ডান পায়ে দ্বিতীয় অস্ত্রোপচার করানোর কথা বলেন। সেই মতো সোমবার অস্ত্রোপচার হয়। তবে সে ভাবে মেয়ের অবস্থার উন্নতি না দেখে পারিবারিক বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করে তাকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বাবা আদর্শ সুরানা। এ দিন আদর্শ বলেন, ‘‘একবালপুরের হাসপাতালে মেয়ের অস্ত্রোপচার সোমবার সফল হয়েছে। তবে আমরা ওকে আর ওখানে রাখতে চাইনি। মেয়েকে সুস্থ করার সব রকমের চেষ্টা করছি। সে কারণেই সিঙ্গাপুর নিয়ে এসেছি।’’ তবে হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে তাঁর কোনও অভিযোগ নেই বলেও জানিয়েছেন আদর্শ।
একবালপুরের ওই হাসপাতালের তরফেও জানানো হয়েছে, চিকিৎসার সব রকম ব্যবস্থা করা হয়েছে আসনার জন্য। পরিবার তাকে শহরের বাইরে নিয়ে যেতে চেয়েছে। তাই মঙ্গলবার সকালে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।