Army Public School

এ-পারের আতিথেয়তায় মুগ্ধ ও-পারের ছাত্রছাত্রীরা

সোমবার দুই বাংলার পড়ুয়ারা এক সঙ্গে অঙ্কের ক্লাস করে। পরে তারা ঘুরে দেখে পাঠাগার ও ল্যাবরেটরি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২০ ০১:৫৩
Share:

কলকাতা আর্মি পাবলিক স্কুল।—ছবি সংগৃহীত।

ভাষার মিল সম্পর্কে আগে থেকেই জানত ওরা। কিন্তু কথা বলতে গিয়ে দেখল, শুধু ভাষা নয়, দুই দেশের পাঠ্যক্রমেও অনেক মিল। শিক্ষকেরা যে ভাবে পড়া বোঝান, তাতেও তফাত কম। আর স্কুলের নানা অনুষ্ঠান তো প্রায় একই রকম। তাই ক্লাসে, খেলার মাঠে, পাঠাগারে বসে বন্ধু হয়ে উঠতে বেশি সময় লাগল না দু’টি দেশের পড়ুয়াদের।

Advertisement

বাংলাদেশের ১৬টি আর্মি স্কুলের ১২ জন পড়ুয়া, ৩ জন শিক্ষক এবং এক জন প্রিন্সিপাল শহরে এসেছেন কলকাতা আর্মি পাবলিক স্কুলের আমন্ত্রণে। বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের আর্মি পাবলিক স্কুলের প্রিন্সিপাল সুচিত্রা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দুই দেশের ছাত্র ও শিক্ষকদের মধ্যে পাঠ্যক্রম, সাংস্কৃতিক বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা হল। দুই দেশের পড়ুয়াদের মধ্যে বন্ধুত্ব ও সৌহার্দ্য বাড়াতেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।’’

সোমবার দুই বাংলার পড়ুয়ারা এক সঙ্গে অঙ্কের ক্লাস করে। পরে তারা ঘুরে দেখে পাঠাগার ও ল্যাবরেটরি। বাংলাদেশের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী জিনাত ইমতিয়াজ় স্কুল চত্বর ঘুরে খুব খুশি। সে বলে, ‘‘দুই দেশের পাঠ্যক্রমে অনেক মিল। মনেই হচ্ছিল না যে অন্য কোনও দেশের স্কুলে বসে ক্লাস করছি। এখানকার শিক্ষকেরাও আমাদের শিক্ষকদের মতো আন্তরিক।’’ ওই পড়ুয়ারা জানাল, রবিবার, ২৬ জানুয়ারি তারা কলকাতা ঘুরে দেখেছে। জিনাত বলে, ‘‘কলকাতার খাবার খেলাম। বাংলাদেশের মিষ্টি ভাল। কিন্তু এ শহরের সন্দেশ যেন মুখে লেগে আছে।’’

Advertisement

এই শহরের আন্তরিকতায় খুশি বাংলাদেশের শিক্ষকেরাও। ময়নামতী ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রিন্সিপাল মহম্মদ রিয়াসত ইফতেখার হোসেন বলেন, ‘‘২৬ জানুয়ারি আসার পর থেকেই এ শহরের আতিথেয়তায় আমরা মুগ্ধ। রেড রোডে প্যারেড দেখেছে আমাদের পড়ুয়ারা। মত বিনিময়ের মাধ্যমে দুই দেশের ছেলেমেয়েরাই উপকৃত হল। এমন কর্মসূচি আরও হলে ভাল হয়।’’ গত ৬ জানুয়ারি ১২ জন ভারতীয় পড়ুয়া বাংলাদেশে গিয়েছিল সেখানকার স্কুলের পরিবেশ ও পঠনপাঠনের ধরন দেখতে।

কলকাতা আর্মি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী অনুষ্কা সরকার বলে, ‘‘অনেক কিছু জানতে পারলাম। ওখানে বোর্ডের পরীক্ষা হয় চার বার। পঞ্চম শ্রেণি, অষ্টম শ্রেণি, দশম ও দ্বাদশ শ্রেণিতে। আর নবম শ্রেণি থেকেই পছন্দের বিষয় নিয়ে পড়া যায়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন