ছবি তুলে পাঠাল পাড়া, তবেই সাফাই খালের

প্রদীপবাবু বলেন, ‘‘খালে যাতে নোংরা না ফেলা হয় স্থানীয় কাউন্সিলর হিসাবে অবশ্যই দেখব।’’

Advertisement

সৌরভ দত্ত

শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০১৮ ০২:৪৮
Share:

অভিযান: চলছে খাল পরিষ্কার । মঙ্গলবার, প্রমোদনগরে। নিজস্ব চিত্র

খালের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ থেকে বাঁচানোর আর্জি জানিয়ে ছবি-সহ স্থানীয় কাউন্সিলরকে হোয়াটসঅ্যাপ পাঠিয়েছিলেন বাসিন্দারা। সেই আর্জি নিয়ে সেচ দফতরের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কাউন্সিলর। এর পরেই মঙ্গলবার সেচ দফতরের তরফে পরিষ্কার করা হল সোনাই খাল।

Advertisement

পুরসভা সূত্রে খবর, দক্ষিণ দমদমের তিন এবং চার নম্বর ওয়ার্ডের সংযোগস্থলে রয়েছে সোনাই খাল। এটি সেচ দফতরের অধীন। প্রমোদনগর নতুন পল্লির কাছে খালের অবস্থা শোচনীয়। থার্মোকল, প্লাস্টিক, কচুরিপানার ভারে খালের জল প্রায় দেখাই যায় না। দিন সাতেক আগে স্থানীয় কাউন্সিলর তথা পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ প্রদীপ মজুমদারকে হোয়াটসঅ্যাপ করে কয়েকটি ছবি পাঠান এলাকাবাসী। সঙ্গে লেখা ছিল, ‘‘আমাদের বাঁচান! খালে মরা কুকুর, বিড়াল ভাসছে। মৃতদেহ পচে পোকা ধরে গিয়েছে। সেই পোকা ঘরেও ঢুকছে।’’

ডেঙ্গির মরসুম শুরু হওয়ার আগে সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের প্রেক্ষিতে প্রতিটি পুরসভাকে এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখায় জোর দিতে বলেছেন পুরসচিব। এ নিয়ে নাগরিকদের অভিযোগ জানানোর জন্য একটি বিশেষ ফোন নম্বরও চালু করার কথা বলা হয়েছে। পুরসভা সূত্রে খবর, বাসিন্দাদের পাঠানো ছবি কাউন্সিলর সেচ দফতরের আধিকারিকদের হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে লেখেন, ‘‘দেখুন, সোনাই খালের কী অবস্থা!’’

Advertisement

পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, জানুয়ারিতে সোনাই ও উদয়পুর খাল সংস্কারের জন্য সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেছিলেন দমদমের বিধায়ক তথা তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। খালগুলি সংস্কার না হলে বর্ষায় ১-৬ এবং ১১ নম্বর ওয়ার্ড যে জলমগ্ন হবে, সে কথা চিঠিতে জানিয়েছিলেন স্থানীয় বিধায়ক। বাসিন্দাদের ছবির পাশাপাশি ওই চিঠিও সেচ দফতরের আধিকারিকদের পাঠান চেয়ারম্যান পারিষদ। পুরসভা সূত্রের খবর, প্রথমে সংস্কারের কাজ যে সময়সাপেক্ষ তা বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন সেচ দফতরের আধিকারিকেরা। কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপে ছবি এবং বার্তা চালাচালির সুবাদে দ্রুত খাল সংস্কারের আশ্বাস মেলে।

সেচ দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘স্থানীয় কাউন্সিলর আবেদন করেছিলেন। তার ভিত্তিতে খাল পরিষ্কার করা হচ্ছে। তবে খালে যাতে কঠিন বর্জ্য না ফেলা হয় সে ব্যাপারে পুরসভাগুলিকেও সক্রিয় হতে হবে। নিয়মিত থার্মোকল, প্লাস্টিক-সহ আবর্জনার স্তূপ সরানো কি সম্ভব!’’

প্রদীপবাবু বলেন, ‘‘খালে যাতে নোংরা না ফেলা হয় স্থানীয় কাউন্সিলর হিসাবে অবশ্যই দেখব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন