ছুটির দুপুরে আগুন মহেশতলার ওষুধের গুদামে

আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গেল ওষুধের একটি গুদাম। রবিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে মহেশতলা থানা এলাকার মোল্লারগেট অঞ্চলে। পুলিশ জানায়, এ দিন দুপুর ১২টা নাগাদ ওষুধের গুদামটি থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। গুদামটি তালাবন্ধ ছিল। গুদামের নিরাপত্তারক্ষী পুলিশ ও দমকলে খবর দেন। মহেশতলা থানার পুলিশ দরজার তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকলে গুদামের একটি অংশে ধিকিধিকি আগুন নজরে আসে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০২:১৮
Share:

ধোঁয়ার গ্রাসে গুদাম। রবিবার, মহেশতলায়। —নিজস্ব চিত্র।

আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গেল ওষুধের একটি গুদাম। রবিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে মহেশতলা থানা এলাকার মোল্লারগেট অঞ্চলে।

Advertisement

পুলিশ জানায়, এ দিন দুপুর ১২টা নাগাদ ওষুধের গুদামটি থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। গুদামটি তালাবন্ধ ছিল। গুদামের নিরাপত্তারক্ষী পুলিশ ও দমকলে খবর দেন। মহেশতলা থানার পুলিশ দরজার তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকলে গুদামের একটি অংশে ধিকিধিকি আগুন নজরে আসে। প্রথমে দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। কিন্তু ধিকিধিকি আগুন থেকে প্রচুর ধোঁয়া বেরোতে শুরু করে। গুদামের চারদিকে ছড়িয়ে পড়তে থাকে ওই ধোঁয়া। তবে গুদামের আশপাশে লোকবসতি না থাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়নি।

এর পরেই বজবজ ও বেহালা থেকে একে একে আরও ১৫টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ঘটনাস্থলে আসেন দমকলের বড়কর্তারাও। দুপুরের পরে ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণ করার ব্যবস্থা করা হয়। বড় মোটা পাইপের মাধ্যমে গুদামের ভিতর থেকে ধোঁয়া বার করা শুরু হয়। ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণ করার বিশেষ যন্ত্রও ব্যবহার করা হয় বলে জানিয়েছেন দমকলকর্তারা। শেষ পর্যন্ত রাতে ওই ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণে আসে।

Advertisement

দমকল এবং ওই ওষুধ সংস্থা সূত্রে খবর, প্রায় ২৭ হাজার বর্গফুটের ওই গুদামে তরল ওষুধ ও প্লাস্টিকের স্ট্রিপে ট্যাবলেট মজুত ছিল। আগুনের শিখা না থাকলেও তরল ওষুধ ও স্ট্রিপের প্লাস্টিক পুড়তে থাকায় কালো ধোঁয়া বেরিয়ে আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। গুদামটির একতলায় ওষুধ ও দোতলায় চা মজুত করা ছিল। একতলার আগুন চায়ের গুদামে পৌঁছয়নি বলে জানিয়েছেন দমকলকর্মীরা। তবে আগুনের তাপে মজুত করা চা নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এই অগ্নিকাণ্ডে প্রায় কয়েক কোটি টাকার ওষুধ পুড়ে গিয়েছে বলে দাবি করেছেন গুদামের কর্তৃপক্ষ। তবে বন্ধ গুদামে কী ভাবে আগুন লাগল তার কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ ও দমকল সূত্রে জানানো হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে দমকলের অনুমান, শর্ট-সার্কিটের জেরেই কোনও ভাবে আগুন লেগে যায়।

অন্য দিকে, এ দিনই বিকেলে আগুন লাগে বড়বাজারের একটি অ্যালুমিনিয়াম বাসনপত্রের দোকানে। ঘটনাটি ঘটে বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ। দমকলের তিনটি ইঞ্জিন গিয়ে ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রাথমিক ভাবে দমকলের অনুমান, এ ক্ষেত্রেও শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন