আগুন কী ভাবে, চুপ পুলিশ-দমকল

এত বড় অগ্নিকাণ্ডের পরেও পুলিশ ও দমকল কেন এ ভাবে চুপ করে রইল, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে অনেকের মনে। যাঁদের মধ্যে অন্যতম স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর পুষ্পালি সিংহ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০০:৪৫
Share:

নিজস্ব চিত্র।

সিঁথির গাড়ি কাটাইয়ের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের পরে কেটে গিয়েছে ৪৮ ঘণ্টা। কিন্তু এখনও অভিযোগই দায়ের করতে পারেনি পুলিশ বা দমকল। হয়নি কোনও ফরেন্সিক পরীক্ষাও। পুলিশেরই একাংশ জানাচ্ছে, বুধবার গভীর রাতে সিঁথির ওই পুরনো গাড়ির গুদামে কী ভাবে আগুন লাগল, কোন কোন গা়ড়ি পুড়ে গেল— তার কিছুই জানা গেল না।

Advertisement

এত বড় অগ্নিকাণ্ডের পরেও পুলিশ ও দমকল কেন এ ভাবে চুপ করে রইল, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে অনেকের মনে। যাঁদের মধ্যে অন্যতম স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর পুষ্পালি সিংহ। তাঁর দাবি, তিনি বহু বার পুরনো গাড়ি কাটাইয়ের এই ব্যবসা নিয়ে সরব হয়েছেন। স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি।

এত বড় আগুনের পরেও অভিযোগ দায়ের হল না কেন?

Advertisement

কলকাতা পুলিশের পদস্থ কর্তাদের বক্তব্য, আগুনের ঘটনায় দমকলের তরফে অভিযোগ জানানো হয়। এ ক্ষেত্রেও অভিযোগ মিললে মামলা রুজু করা হবে।

অন্য দিকে দমকল-কর্তাদের বক্তব্য, ওই গাড়ি কারখানা কাদের তা জানেন না তাঁরা। স্থানীয় সিঁথি থানা থেকে এ ব্যাপারে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। তাই তাঁরা অভিযোগ দায়ের করতে পারেননি। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে দমকলের ওসি রিপোর্ট দিলে পদক্ষেপ করা হবে।
কিন্তু ঘটনাস্থল ঘিরে না রাখায় ফরেন্সিকের কোনও নমুনা আদৌ ঠিক থাকবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। যার সদুত্তর মেলেনি পুলিশ ও দমকল-কর্তাদের কাছে।

প্রাক্তন পুলিশকর্তাদের অনেকেই অবশ্য বলছেন, অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির নামে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা যেতে পারত। তাতে এই ব্যবসার সঙ্গে কারা জড়িত, তা ঠিকই জানা যেত। ‘‘এলাকায় গা়ড়ি কাটাইয়ের ব্যবসা চলছে অথচ পুলিশ তার খোঁজ রাখেনি, এমন হতে পারে না,’’ মন্তব্য এক প্রাক্তন সহকারী পুলিশ কমিশনারের।

অভিযোগ দায়ের করা নিয়ে দমকল-পুলিশের চাপান-উতোর প্রসঙ্গে এলাকার বাসিন্দাদের অনেকেরই বক্তব্য, বিশেষ কোনও স্বার্থে গাড়ি কাটাইয়ের ব্যবসায়ীদের আড়াল করার চেষ্টা করছে প্রশাসনের একাংশ। এই ভাঙা গাড়ির স্তূপ এবং যন্ত্রাংশের ভিতরে বৃষ্টির জল জমে ডেঙ্গির মশার বংশবিস্তার হতে পারে। বাসিন্দাদের ওই অভিযোগ মেনে নিয়েছেন পুষ্পালিদেবী। তিনি বলেন, ‘‘এ কথা আমিও বার বার পুলিশ-প্রশাসনকে জানিয়েছি। কিন্তু লাভ হয়নি।’’
এই উপদ্রব বন্ধ করতে এ দিন সন্ধ্যায় সিঁথি থানায় পুর ও পুলিশ প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকেও বসেন পুষ্পালিদেবী। রাত পর্যন্ত সেই বৈঠক চলে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন