—ফাইল চিত্র।
চেতলা অগ্রণীর পুজোয় আগুন। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন। এই ঘটনার পর দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে পুজোমণ্ডপ। কবে এবং কখন তা খোলা হবে জনসাধারণের জন্য, তা এখনও জানানো হয়নি।
কলকাতার মেয়র ফিরহাদ (ববি) হাকিমের পুজো বলেই পরিচিত এই চেতলা অগ্রণীর পুজো। সেখানে কী কারণে, কী ভাবে আগুন লেগেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে। চেতলা অগ্রণী ক্লাবের তরফে ফেসবুকে বলা হয়েছে, ‘‘একটি অভূতপূর্ব দুর্ঘটনার কারণে আমাদের চেতলা অগ্রণী ক্লাব প্যান্ডেল আজ ২৫ সেপ্টেম্বর তারিখে বন্ধ থাকবে। ভক্ত এবং দর্শনার্থীদের জন্য এটি কখন খোলা হবে, তা আমরা শীঘ্রই আবার জানিয়ে দেব। এই অসুবিধার জন্য আমরা দুঃখিত।’’
দক্ষিণ কলকাতার চেতলা অগ্রণী এ শহরের নামকরা পুজো। এ বছর এই পুজোর থিম— ‘অমৃতকুম্ভের সন্ধানে’, যা প্রয়াত সাহিত্যিক সমরেশ বসুর জন্মশতবর্ষে বিশেষ শ্রদ্ধার্ঘ্য। এ বার রুদ্রাক্ষ দিয়ে সাজানো হয়েছে চেতলা অগ্রণীর পুজোমণ্ডপ। গত রবিবারই চেতলা অগ্রণীর প্রতিমায় চক্ষুদান করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পর বুধবার মণ্ডপ দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল। তার পরেই এই ঘটনা।
গত সোমবার রাতে টানা বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছিল কলকাতা। সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছিল দক্ষিণ কলকাতায়। ভেসে গিয়েছিল ববির পাড়া চেতলাও। পুজোর মুখে এই বিপর্যয়ের জেরে বানভাসি কলকাতার অভিযোগের আঙুল স্বভাবতই উঠতে শুরু করেছে কলকাতার মেয়রের দিকে। তার মধ্যেই এ বার ববির পাড়ার পুজোমণ্ডপে আগুন।