প্রদীপ থেকে আগুন, ছাই ঘরের একাংশ

পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার বেলা বারোটা নাগাদ একবালপুর এলাকার ময়ূরভঞ্জের একটি চার তলার বিল্ডিংয়ে আগুন লাগে। তখন বাড়িতে কেউ ছিলেন না। তবে ঘিঞ্জি এলাকায় দোতলার ঘরে আগুন লাগায় আতঙ্ক ছড়ায় গোটা বিল্ডিংয়ে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০১৮ ০১:৩৩
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

ঠাকুরের আসনে থাকা প্রদীপের আগুন থেকে ভস্মীভূত হয়ে গেল ঘরের একাংশ। রেফ্রিজারেটর থেকে শুরু করে ঘরের সিলিং সম্পূর্ণ পুড়ে গিয়েছে। আর এই অগ্নিকাণ্ডের খলনায়ক হিসেবে ইঁদুরকেই সন্দেহ করছেন পরিবারের লোকেরা।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার বেলা বারোটা নাগাদ একবালপুর এলাকার ময়ূরভঞ্জের একটি চার তলার বিল্ডিংয়ে আগুন লাগে। তখন বাড়িতে কেউ ছিলেন না। তবে ঘিঞ্জি এলাকায় দোতলার ঘরে আগুন লাগায় আতঙ্ক ছড়ায় গোটা বিল্ডিংয়ে। আতঙ্কে দৌড়ে নীচে নেমে আসেন অন্য ঘরের বাসিন্দারা। দমকলের তিনটি ইঞ্জিন পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন।

স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই বাড়িতেই দুই মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন আশিসকুমার ধানুকা। তিনি জানান, প্রতি দিন সকালে তিনি মেয়েদের তাদের মামাবাড়িতে রেখে আসেন। পরে পুজো ও স্নান সেরে দুই মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে আসেন তাঁর স্ত্রী প্রতিভা ধানুকা। এ দিনও পুজো সেরে প্রদীপ জ্বালিয়ে মেয়েদের আনতে বেরিয়ে যান প্রতিভাদেবী। কিছু ক্ষণ পরেই ঘরের জানলা দিয়ে ধোঁয়া দেখা যায়। স্থানীয় যুবকেরা পৌঁছে দেখেন, ঘরের ভিতরে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। তাঁরাই দরজা ভেঙে জল দিতে শুরু করেন। খবর যায় দমকলে।

Advertisement

তবে এই গোটা ঘটনার জন্য ইঁদুরকে দায়ী করছে আশিসবাবুর পরিবার। আশিসবাবু জানান, ঘরের এক কোনে কিছুটা উপরে ঠাকুরের মূর্তি থাকে। তার নীচেই ছিল রেফ্রিজারেটর। তাঁদের অনুমান, ঠাকুর আসনের উপরে থাকা জ্বলন্ত প্রদীপটি ফেলে দেয় ইঁদুর। সেখান থেকেই ঠাকুরের আসন ও রেফ্রিজারেটরে আগুন লেগে যায়। তাঁরা জানান, এর আগেও বহু বার ইঁদুর এ ভাবে প্রদীপ ফেলে দিয়েছে। তবে প্রতি বারই তা নেভানো থাকায় দুর্ঘটনা এড়ানো গিয়েছিল। যদিও দমকল প্রাথমিক ভাবে জানিয়েছে, রেফ্রিজারেটর থেকেই আগুন লেগেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন