ছুটির বিকেলে গুদামে আগুন, আতঙ্ক

দিনটা রবিবার, আর সময়টা বিকেল বেলা। তাই রক্ষে। না হলে, যে ভাবে কাঠের গুদামের আগুন দাউ দাউ করে ছড়িয়ে পড়েছিল, তাতে বেলেঘাটা খালপাড়ের ঘিঞ্জি এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়ত বলেই মনে করছেন দমকলের কর্তারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৩:১৩
Share:

আগুন নেভার পরে। রবিবার, বেলেঘাটায়। — নিজস্ব চিত্র

দিনটা রবিবার, আর সময়টা বিকেল বেলা। তাই রক্ষে। না হলে, যে ভাবে কাঠের গুদামের আগুন দাউ দাউ করে ছড়িয়ে পড়েছিল, তাতে বেলেঘাটা খালপাড়ের ঘিঞ্জি এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়ত বলেই মনে করছেন দমকলের কর্তারা। তবে দেড় ঘণ্টা ধরে দমকলের আটটি ইঞ্জিনের লাগাতার চেষ্টায় শেষমেশ অবশ্য আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে। হতাহতের কোনও খবর নেই।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বিকেল চারটে নাগাদ আচমকাই ট্যাংরার কুলিয়া এলাকায় ২১ নম্বর ক্যানেল সাউথ রোডে একটি কাঠের গুদামে আগুন লাগে। কালো ধোঁয়া দেখে স্থানীয় বাসিন্দারাই তৎক্ষণাৎ দমকলে খবর দেন। মিনিট কুড়ির মধ্যেই এসে পৌঁছয় দমকলের চারটি ইঞ্জিন। আসে সিভিল ডিফেন্স ও বিরাট পুলিশ বাহিনীও।

রবিবার গুদামটি বন্ধ থাকায় ভিতরে কেউ ছিলেন না। তবে প্রচুর মাত্রায় কাঠ, বাঁশ ও রাসায়নিক বস্তু মজুত ছিল। কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের একটি গাড়ির টায়ারের গুদামে ও অন্য আর একটি ঘরে। পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে ওঠে। বেগতিক দেখে দমকলের আরও চারটি ইঞ্জিন নিয়ে আসা হয়। খালি করে দেওয়া হয় আশপাশের বসতি। বন্ধ করে দেওয়া হয় ক্যানাল সাউথ রোডও। ফলে, বেলেঘাটা, ফুলবাগান ও শিয়ালদহ এলাকায় যানজট তৈরি হয়। শেষমেশ দমকলের দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

Advertisement

স্থানীয়েরা জানান, সাধারণ দিনে এই ঘিঞ্জি এলাকায় গুদামগুলিকে ঘিরে প্রচুর মানুষের যাতায়াত থাকে। এ দিন ছুটি থাকায় লোকজনের আনাগোনা কম ছিল। না হলে আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা ছিল। প্রাথমিক তদন্তে দমকলের অনুমান, বন্ধ ঘরে শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও স্পষ্ট নয়।

অন্য দিকে, এ দিন সন্ধ্যায় বাইপাসে সায়েন্স সিটির কাছে একটি কার্টনের গুদামে আগুন লাগে। স্থানীয় বাসিন্দারা প্রথমে হাত লাগান। পরে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন এসে আগুন নেভায়। আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখছে দমকল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন