Fire

মাঝরাতে বন্ধ টায়ারের গুদামে আগুন

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার লকডাউন থাকায় ওই বাজার সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২০ ০২:২৭
Share:

প্রতীকী ছবি

পুড়ে গেল বহুতল বাজারের মধ্যে থাকা একটি টায়ারের গুদাম। শনিবার রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ শহরতলির বিষ্ণুপুর থানা এলাকার আমতলায় হিমালয় মার্কেট নামে একটি বাজারে। ওই বাজারের দোতলায় থাকা একটি টায়ারের গুদামে আগুন লেগে যায়। দমকলের দু’টি ইঞ্জিন প্রায় পাঁচ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে অগ্নি নির্বাপক রাসায়নিক ভর্তি ‘‘ফায়ার বল’’ ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দমকলের আধিকারিকেরা।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার লকডাউন থাকায় ওই বাজার সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। রাতে প্রথমে জানলা দিয়ে কালো ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। পরে আগুনের শিখা জানলার বাইরে আসতে থাকে। এর পরেই স্থানীয় বাসিন্দারা দমকলে খবর দেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাজারের দরজা খুলে দোতলায় উঠে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করেন দমকলকর্মীরা।

এক দমকল কর্মী জানিয়েছেন, ওই গুদাম অতিদাহ্য রবারের টায়ারে ভর্তি ছিল। শুধু জল দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছিল না। এর পরেই রাসায়নিক ভর্তি ফায়ার বল ব্যবহার করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হয়। পাশাপাশি, দু’টি পুকুর থেকে লাগাতার জল দেওয়া হয় গুদামে। ভোর পাঁচটা নাগাদ আগুন প্রাথমিক ভাবে নিয়ন্ত্রণে আসে।

Advertisement

তবে আগুনের উৎসের বিষয়ে অন্ধকারে রয়েছেন পুলিশ ও দমকলের আধিকারিকেরা। শনিবার লকডাউন থাকায় ওই বাজারের সমস্ত বিদ্যুতের সংযোগ বন্ধ ছিল। তা সত্ত্বেও কী ভাবে ওই গুদামে আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছেন দমকলের আধিকারিকেরা।

ওই বাজারের দোতলায় গা ঘেঁষাঘেষি করে প্রায় ৫০টি দোকান রয়েছে। গুদামের আগুন যদি অন্য দোকানে ছড়িয়ে পড়ত, তা হলে গোটা বাজারই পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল বলে জানিয়েছেন দমকলকর্মীরা। দোকানে কোনও অগ্নি নির্বাপণ

ব্যবস্থা ছিল না বলে প্রাথমিক তদন্তের পরে জানিয়েছে পুলিশ। দোকানের মালিক শামসুদ্দিন মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আগুনে লক্ষাধিক টাকার জিনিস পুড়ে ছাই হয়ে

গিয়েছে বলে দাবি করেছেন শামসুদ্দিন। তিনি বলেন, ‘‘শুক্রবার দোকান বন্ধ করা হয়েছিল। বিদ্যুতের সংযোগকারী সমস্ত সুইচ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল তখনই। তাই কী ভাবে আগুন লাগল, তা নিয়ে আমিও ধন্দে পড়ে গিয়েছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন