heart transplant

রাজ্যে প্রথম হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপনের নজির গড়ল সরকারি হাসপাতাল

শুক্রবার বিকেলে সৈকতের ব্রেন ডেথ হওয়ার পর ‘রিজিওনাল অরগ্যান অ্যান্ড টিস্যু ট্রান্সপ্লান্ট অরগানাইজেশন’-এর তালিকা দেখে গ্রহীতার খোঁজ শুরু হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০১৮ ২১:১৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

এই প্রথম সরকারি হাসপাতালে প্রতিস্থাপিত হল হার্ট। দক্ষিণ ২৪ পরগনার পূজালির বাসিন্দা বছর তিরিশের সৈকত লাট্টুর ‘ব্রেন ডেথ’ হওয়ারপর অঙ্গপ্রতিস্থাপনের সম্মতি দেন তাঁর পরিবার। তার পরেই শুরু হয়ে যায় তোড়জোড়।

Advertisement

শনিবার সকাল মাত্র ৬ মিনিটের মধ্যে এসএসকেএম থেকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেগ্রিন করিডর’ করে সৈকতের হৃদযন্ত্র আনা হয়। শুরু হয় অস্ত্রোপচার। বিকেলের মধ্যে সফলভাবে তাঁর হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপিত হয় ৩৮ বছরের রাখাল দাসের শরীরে। অন্য দিকে, এসএসকেএম হাসপাতালেও প্রতিস্থাপন হয় সৈকতের দু’টি কিডনি। এর পাশাপাশি গ্রহীতার ত্বকও সংরক্ষণ করা হয়েছে। একটি বেসরকারি সংস্থায় দান করা হয়েছে চোখের কর্নিয়া।

শুক্রবার বিকেলে সৈকতের ব্রেন ডেথ হওয়ার পর ‘রিজিওনাল অরগ্যান অ্যান্ড টিস্যু ট্রান্সপ্লান্ট অরগানাইজেশন’-এর তালিকা দেখে গ্রহীতার খোঁজ শুরু হয়। দেখা যায় মেডিক্যাল কলেজে হৃদযন্ত্রে গুরুতর সমস্যায় ভুগছেন রাখাল দাস। সিদ্ধান্ত হয় তার শরীরেরই হৃদয় প্রতিস্থাপন করা হবে।সৈকতের বাবা স্বদেশ লাট্টু বলেন, “ছেলে অন্যের শরীরে বেঁচে থাকবে। সেটাই মনকে বোঝাব।”

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘যাদের কিছু লুকনোর আছে, তারাই বাধা দিচ্ছে সিবিআইকে’​

আরও পড়ুন: কলকাতার উচ্চতম বহুতল ‘দ্য ৪২’-এ আগুন​

গত বছরই কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপনের অনুমতি পেয়েছে। ধীরে ধীরে পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ১২ জনের বিশেষজ্ঞ দল এ দিন প্রায় ৭ ঘণ্টা ধরে অস্ত্রোপচার করেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন