রক্ষণাবেক্ষণে গাফিলতির কথাই উঠে এল মাঝেরহাট সেতু-কাণ্ডে ফরেন্সিকের প্রথম দফা রিপোর্টে।ফাইল চিত্র
রক্ষণাবেক্ষণে গাফিলতির কথাই উঠে এল মাঝেরহাট সেতু-কাণ্ডে ফরেন্সিকের প্রথম দফা রিপোর্টে। সম্প্রতি এই রিপোর্ট আলিপুর থানা, লালবাজার-সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলিতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান রাজ্য ফরেন্সিক বিভাগের এক পদস্থ কর্তা। তবে রিপোর্টে ঠিক কী বলা হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু জানাতে চাননি তিনি। পুলিশ সূত্রের খবর, দুর্ঘটনার পিছনে কোনও নির্দিষ্ট কারণ রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়নি। মূলত রক্ষণাবেক্ষণের গাফিলতিকেই দায়ী করা হয়েছে।
এই রিপোর্টের ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দাপ্রধান প্রবীণ ত্রিপাঠীও কিছু জানাতে চাননি। তবে ফরেন্সিকের একটি সূত্রের দাবি, এটি প্রথম দফার রিপোর্ট। পরবর্তী কালে আরও রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
প্রসঙ্গত, ৪ সেপ্টেম্বর বিকেলে ভেঙে পড়ে মাঝেরহাট সেতু। মারা যান তিন জন এবং আহত হন ২৭ জন। সেই ঘটনার পরে আঙুল উঠেছিল মাঝেরহাট সেতুর কাছে জোকা-বিবাদী বাগ মেট্রোর নির্মাণের দিকে। অনেকেরই অভিযোগ ছিল, মেট্রোর স্তম্ভ নির্মাণের জেরে কাঁপুনিতে সেতু ভেঙেছে। কিন্তু সেই ব্যাপারে জোর দিয়ে ফরেন্সিক রিপোর্টে কিছু বলা হয়নি। পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, মাঝেরহাট সেতুর উপরে পুরনো ট্রামলাইন ছিল। সেটি ক্ষয়ে গিয়ে সেতুর নির্মাণকে দুর্বল করেছে। পুরনো সেতুর কাঠামোর উপরেই বারবার পিচের আস্তরণ পড়েছে। ফলে কংক্রিটের ওজন বেড়েছে। সেতুর নকশাও পরীক্ষা করিয়েছে ফরেন্সিক বিভাগ। সেই নকশায় কোনও ত্রুটি নেই বলেও রিপোর্টে জানানো হয়েছে।
লালবাজারের খবর, ভাঙা সেতু থেকে বিভিন্ন নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছিল। সেগুলি ফরেন্সিক পরীক্ষায় গিয়েছে। রিপোর্ট এখনও জমা পড়েনি।