গ্রেফতারের পরে দুষ্কৃতীরা। — নিজস্ব চিত্র
বাগুইআটির জগৎপুরে তৃণমূলকর্মী সঞ্জয় রায়ের খুনে উত্তর ২৪ পরগনার ঘোলা এবং দক্ষিণ শহরতলি থেকে মোট পাঁচ দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল বিধাননগর পুলিশ। খুনে ব্যবহৃত একটি আগ্নেয়াস্ত্রও বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এ নিয়ে এই ঘটনায় মোট সাত জন ধরা পড়ল। ২৫ ফেব্রুয়ারি সঞ্জয়কে প্রকাশ্যে গুলি করে, মাথায় বন্দুকের বাঁট মেরে হত্যা করা হয়। বোমা ছুড়তে ছুড়তে পালায় দুষ্কৃতীরা।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাতে ধৃত পাঁচ জনের নাম রঞ্জু ঘোষ, প্রবীর মান্না, টুকাই বিশ্বাস, কালিদাস অধিকারী এবং মনোরঞ্জন সরকার ওরফে নৃপেন। এ দিন বারাসতে আদালতে কালিদাসের জেল হেফাজত এবং বাকিদের পুলিশ হেফাজত হয়। পুলিশের দাবি, সঞ্জয়কে খুনের পরে দুষ্কৃতীদের একটি অংশ শোভাবাজারে মনোরঞ্জনের আশ্রয়ে যায়। তার পরে কল্যাণী, বনগাঁ ঘুরে গত শনিবার প্রবীর, টুকাই, রঞ্জু ও কালিদাস যায় মন্দারমণিতে। মঙ্গলবার ফিরে টুকাই যায় ঘোলায়। বাকিরা চম্পাহাটিতে। খবর পেয়ে দিনভর তল্লাশিতে দলটিকে ধরে পুলিশ। পুলিশ জানায়, রঞ্জু , টুকাই সঞ্জয়কে গুলি করে। সঙ্গে ছিল আর এক পেশাদার খুনিও। বোমা ছোড়ে কালিদাস। মনোরঞ্জনকে ধরা হয়েছে দুষ্কৃতীদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে।
আগে এই ঘটনায় গ্যাসবাবু এবং ইঁদুর গোপাল গ্রেফতার হয়। সম্প্রতি তোলাবাজির অভিযোগে ধৃত আকাশ দাস ওরফে সুরজ ও সুব্রত বসু ওরফে ডি জে বাচ্চা-ও ইঁদুর গোপালকে সহযোগিতা করে বলে তদন্তে জানা যায়। পুলিশ জানায়, নদিয়ায় তল্লাশির সূত্রে ডি জে বাচ্চার নাম পেয়ে তাকে জেরায় বাকিদের গতিবিধি সম্পর্কে সূত্র মেলে। এ দিন বিধাননগরের গোয়েন্দাপ্রধান কঙ্করপ্রসাদ বারুই জানান, ব্যক্তিগত আক্রোশ ও বাণিজ্যিক শত্রুতার জেরেই এই খুন বলে অনুমান। অন্য রহস্য আছে কি না, দেখা হচ্ছে তা-ও। আরও কয়েক জনের খোঁজ চলছে।