সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের খাদ্যমেলা।—নিজস্ব চিত্র।
ওদের কপালে সচরাচর মন্ডামিঠাই জোটে না। বিরিয়ানি, চিকেন চাপ তো অনেক দূরের কথা! কে খাওয়াবে ওদের এই সব জিভে জল আনা সুস্বাদু খাবার? রেস্তরাঁ বা দোকান থেকে কিনে এ সব খাবার চেখে দেখার ওদের সামর্থ নেই। তাতে কী ? রবিবার রাতে এমনই প্রায় ৫০০ শিশুর পাতে জিভে জল আনা খাবার তুলে দিলেন সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে খাদ্যমেলা এবং বই উৎসবের আয়োজকরা। শিশুরাও মনের আনন্দে নানা রকমের খাবার চেখে দেখল। কি ছিল না সেই তালিকায়, মিষ্টি, সন্দেশ থেকে শুরু করে চিকেন চাপ, বিরিয়ানি। তালিকার মতোই আয়োজনও ছিল আড়েবহরে বেশ বড়।
‘কলকাতা ক্লাব সমন্বয় সমিতি এবং থিজম্ ইভেন্ট-এর উদ্যোগে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে বই উৎসবের পাশাপাশি আয়োজন করা হয়েছিল খাদ্যমেলারও। কলকাতায় বইমেলার একটুকরো আমেজ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা হচ্ছে বছর তিনেক ধরে। এর পাশাপাশি এ বছর খাদ্যপ্রেমীদের জন্যে জাপানিজ, চাইনিজ বিভিন্ন পদ থেকে শুরু করে বাঙালি খাবারের পসরাও বসেছিল।
অন্যতম উদ্যোক্তা সজল ঘোষ বলেন, “আমরা সারা বছরই বিভিন্ন সামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকি।বাঙালির কলকাতা বইমেলার নস্টালজিয়া ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে চলেছে। কিন্তু আক্ষেপর সঙ্গেই বলছি, এ বছর বইয়ের স্টলে যত না ভিড় হয়েছে, তার থেকে হরেক রকমের খাবারের দিকে বেশি ঝুঁকে ছিলেন সহ নাগরিকরা।” ৫৪ টি স্টলে মোট ১৫০ টি প্রকাশক সংস্থা অংশ নিয়ে ছিল। খাবারের স্টলও ছিল প্রায় ৫০টির কাছাকাছি।
আরও পড়ুন: কর্নাটকে ফের রাজনৈতিক টানাপড়েন! জল্পনার মধ্যেই মুম্বইয়ের হোটেলে তিন কংগ্রেস বিধায়ক
আরও পড়ুন: লাইন দিয়ে কুকুর খুন, ভয়ঙ্কর অত্যাচারের ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এল