ফুড লাইসেন্স ছাড়া ট্রেড লাইসেন্স নয়

প্রায় ৭৩ হাজার খাবারের দোকান ফুড লাইসেন্স ছাড়াই ব্যবসা চালাচ্ছে শহরে। তাই পুরসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যে সব দোকানের ফুড লাইসেন্স নেই, তাদের ট্রেড লাইসেন্স পুনর্নবীকরণ করা হবে না। এ জন্য ফুড সেফ্‌টি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অ্যাক্ট অনুযায়ী যে সব খাদ্যবিক্রেতার ফুড লাইসেন্স নেই, তাঁদের সমস্ত তথ্য ট্রেড লাইসেন্স দফতরে দেওয়া হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০১৬ ০১:১৫
Share:

প্রায় ৭৩ হাজার খাবারের দোকান ফুড লাইসেন্স ছাড়াই ব্যবসা চালাচ্ছে শহরে। তাই পুরসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যে সব দোকানের ফুড লাইসেন্স নেই, তাদের ট্রেড লাইসেন্স পুনর্নবীকরণ করা হবে না। এ জন্য ফুড সেফ্‌টি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অ্যাক্ট অনুযায়ী যে সব খাদ্যবিক্রেতার ফুড লাইসেন্স নেই, তাঁদের সমস্ত তথ্য ট্রেড লাইসেন্স দফতরে দেওয়া হবে। যাতে ট্রেড লাইসেন্স পুনর্নবীকরণ করাতে গেলে সব কিছু ধরা পড়ে।

Advertisement

মঙ্গলবার পুরসভার মেয়র পরিষদের বৈঠক ছিল। সেখানেই হাজার হাজার খাবারের দোকানের ফুড লাইসেন্স না থাকার কথা ওঠে। পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের পাঠানো ওই প্রস্তাবে বলা হয়, অধিকাংশ খাবারের দোকানে ফুড লাইসেন্স না থাকায় একদিকে পুরসভার আয় কমছে, আবার খাবারের মান নিয়ে অভিযোগ উঠলে ব্যবস্থা নিতে অসুবিধা হয়।

পুরসভা সূত্রে খবর, শহরের প্রায় ৮৫ হাজার খাবার দোকানে পুরনো ফুড সেফ্‌টি আইনে লাইসেন্স ছিল। ২০০৬-এ গড়া ফুড সেফ্‌টি অ্যান্ড স্টান্ডার্ডস অ্যাক্ট এ দেশে লাগু হয়েছে ২০১১ সালে। কিন্তু পাঁচ বছরেও নতুন ফুড লাইসেন্স করেনি প্রায় ৭৩ হাজার দোকান। ওই দোকানগুলিকে ফুড সেফ্‌টি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস আইনে মুড়তে চায় পুর প্রশাসন। মঙ্গলবার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় জানান, খাদ্যবস্তু বিক্রি করতে হলে ফুড সেফ্‌টির লাইসেন্স নিতে হবে। কোন খাবারে কে, কী মিশিয়ে বিক্রি করছে, জানা দরকার। এর সঙ্গে মানুষের স্বাস্থ্য জড়িয়ে রয়েছে এবং একমাত্র ফুড লাইসেন্স থাকলেই সব নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

Advertisement

পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ জানান, বছরে ১২ লক্ষ টাকার কম লেনদেনের জন্য ফুড লাইসেন্স ফি ১০০ টাকা। তার বেশি হলে ফি-এর পরিমাণও বাড়ে। সেই হিসেবে বছরে প্রায় এক কোটি টাকারও বেশি আয় হতে পারে পুরসভার। যা গত কয়েক বছর ধরে পুরসভার ভাঁড়ারে আসছে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন