দেওয়া-নেওয়া: বাগবাজারের মণ্ডপে সিঁদুর খেলা। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী।
রেড রোডে বিসর্জনের কার্নিভালে এ বার অংশগ্রহণ করবে ৬৫টি পুজো কমিটি। পুজো শুরুর আগেই রেড রো়ড জুড়ে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছিল। শনিবার, দশমীর সকালে শেষবেলার প্রস্তুতির জন্য অংশগ্রহণকারী পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠক সারলেন লালবাজারের কর্তারা।
লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে ৩ অক্টোবরের শোভাযাত্রার নিয়ম নিয়ে পুজো কমিটিগুলোর সঙ্গে বৈঠক হয়। পুজো কমিটির কর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, দলে পঞ্চাশ জন সদস্য এবং চারটি গাড়ি থাকবে। শোভাযাত্রার সময়ে কোথাও দাঁড়িয়ে থাকা যাবে না।
গত বছর ৩৫টি পুজো কমিটির মধ্যে বেশ কয়েকটি পুজো কমিটি শোভাযাত্রার কয়েকটি জায়গায় দাঁড়িয়ে অনুষ্ঠান করেছিলেন। যার জেরে অতিরিক্ত সময় লেগেছিল। ২ অক্টোবর পলাশী গেট রোডে গাড়িগুলো রেখে দিতে হবে। ৩ অক্টোবর বিকেল পাঁচটা থেকে শোভাযাত্রা শুরু হবে। যাঁরা আগের দিন পলাশী গেট রোডে গাড়ি রাখতে পারবেন না, তাঁরা ওই দিন বিকেল চারটের আগে খিদিরপুর রোডে গাড়ি সাজিয়ে রাখবেন।
এক পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, শোভাযাত্রায় সদস্য সংখ্যা বেঁধে দেওয়ায় বেশ কয়েকটি পুজো কমিটি আপত্তি জানিয়েছিল। তাঁদের বোঝানো হয়, অসংখ্য মানুষকে নিয়ে ২ অক্টোবর এলাকায় শোভাযাত্রা করার অনুমতি পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু রেড রোড কার্নিভাল একটি আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠান। তাই সেই শোভাযাত্রা সুষ্ঠু ভাবে আয়োজন করতে পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করা জরুরি।
শোভাযাত্রায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি উপস্থিত থাকবেন। প্রায় দু’হাজার পুলিশকর্মী সে দিনের অনুষ্ঠানের দায়িত্বে থাকবেন। এর জন্য ২ অক্টোবর, সোমবার থেকে রেড রোড বন্ধ থাকবে।
কার্নিভালের দিন দক্ষিণ কলকাতা থেকে যে সব শোভাযাত্রা আসবে, তাঁরা কুইনস্ রোড থেকে লাভার্স লেন হয়ে রেড রোডে ঢুকবেন। উত্তর থেকে শোভাযাত্রা চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ হয়ে রেড রোডে ঢুকবে, এমনই পরিকল্পনা কলকাতা পুলিশের। অংশগ্রহণকারী প্রতিটি পুজো কমিটির শোভাযাত্রাকে রেড রোড পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করবে পুলিশ।
যদিও পুলিশে একাংশের আশঙ্কা, ২০১৬ সালে এই শোভাযাত্রায় ৩৫টি পুজো অংশগ্রহণ করেছিল। এ বার সেই সংখ্যাটা প্রায় দ্বিগুণ। গত বছর প্রায় চার ঘণ্টা ধরে কার্নিভাল চলেছিল। যার জেরে কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকায় যানজট তৈরি হয়েছিল। ভোগান্তির শিকার হয়েছিলেন সাধারণ যাত্রীরা। এ বছর কার্নিভাল শেষ হতে আরও সময় লাগবে। ফলে দুর্ভোগ আরও বাড়বে বলে অনেকেই আশঙ্কা করছেন।
যদিও লালবাজারের এক শীর্ষ কর্তার কথায়, ‘‘রেড রোড কার্নিভালের জন্য পুলিশের ব্যবস্থা পর্যাপ্ত থাকবে। কোনও রকম সমস্যা হবে না।’’