—ফাইল চিত্র।
কলকাতা পুরসভার তরফে দেওয়া চেক তো নকল করা হয়েছেই। আরও অভিযোগ, চেকে থাকা পদাধিকারীর সই পর্যন্ত জাল করে তুলে নেওয়া হয়েছে ২৩ লক্ষ টাকা! সেই টাকা তোলা হয়েছে উত্তরপ্রদেশের গুরুগ্রামে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখা থেকে। মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছেন খোদ মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বিষয়টি জানার পরেই তিনি নিউ মার্কেট থানায় অভিযোগ দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকেও গুরুগ্রাম পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে পুরসভার দেওয়া চেকের মাধ্যমে টাকা তোলা।
কী ভাবে ঘটল এমন ঘটনা? মেয়র জানান, কলকাতার পাঁচটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে পুরসভার অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সেগুলির মধ্যে আছে নিউ মার্কেট লাগোয়া একটি ব্যাঙ্কের শাখাও। পুরকর্মীদের বেতন, ঠিকাদারদের বিল-সহ যাবতীয় খরচ মেটানো হয় ওই ব্যাঙ্কের চেক দিয়ে। সম্প্রতি পুর প্রশাসন জানতে পারে, দিন দুই আগে গুরুগ্রামে ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কেরই একটি শাখা থেকে ২৩ লক্ষ টাকা তোলা হয়েছে। আর সে টাকা গিয়েছে পুরসভার অ্যাকাউন্ট থেকে। ফিরহাদ জানান, যে চেক দিয়ে ওই টাকা তোলা হয়েছে, সেটি নকল করা হয়েছিল। এমনকি চেকে যাঁদের সই থাকে, তা-ও জাল করা হয়েছে। পরে ওই চেক গুরুগ্রামের ব্যাঙ্কে জমা দিয়ে টাকা তুলে নেওয়া হয়।
বিষয়টি ধরা পড়ার পরেই এ দিন পুর কমিশনার-সহ অর্থ দফতরের পদস্থ অফিসারদের নিয়ে বৈঠক করেন মেয়র। নির্দেশ দেন, আপাতত ওই পাঁচটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ককে সতর্ক করা হোক। পুরসভার তরফে দেওয়া চেক জমা দিয়ে কেউ যাতে টাকা তুলতে না পারেন, তা জানিয়ে দিতে বলেন সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কগুলিকে। পরে ফিরহাদ বলেন, ‘‘যে পাওনাদারেরা চেক পেয়েছেন, তাঁরা ওই চেক ব্যাঙ্কে জমা না দিয়ে পুর প্রশাসনের কাছে ফেরত দিন। শীঘ্রই পুরসভা তাঁদের নতুন চেক দেবে।’’ নিউ মার্কেট থানা সূত্রের খবর, বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে।