দু’দিন পরে খোঁজ প্রাক্তন বিধায়কের

২০০০ সালে ওড়িশার গন্ডিয়া থেকে বিজেডি-র টিকিটে এবং ২০০৪ সালে ঢেঙ্কানল থেকে এনসিপি-র টিকিটে বিধায়ক হন নবীনবাবু। পরে ফের যোগ দেন বিজেডি-তে। বর্তমানে তিনি সেই দলেই আছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০১৮ ০২:১৯
Share:

শনিবার পার্ক স্ট্রিট এলাকায় গিয়েছিলেন নবীন নন্দ। —ফাইল চিত্র।

প্রায় দু’দিনের রুদ্ধশাস টানাপড়েন। ওড়িশা বিধানসভার দু’বারের বিধায়ক কলকাতায় এসে নিখোঁজ। তাঁর মোবাইল বন্ধ। শেক্সপিয়র সরণির যে হোটেলে উঠেছিলেন, সেখানেও তিনি নেই! শনিবার দিনভর খোঁজাখুঁজির পরে রবিবার বিকেলে অবশেষে ওই হোটেলে ফিরে এলেন ওড়িশার প্রাক্তন বিধায়ক নবীন নন্দ।

Advertisement

২০০০ সালে ওড়িশার গন্ডিয়া থেকে বিজেডি-র টিকিটে এবং ২০০৪ সালে ঢেঙ্কানল থেকে এনসিপি-র টিকিটে বিধায়ক হন নবীনবাবু। পরে ফের যোগ দেন বিজেডি-তে। বর্তমানে তিনি সেই দলেই আছেন। পরিবার জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার নবীনবাবু বিশেষ কাজ নিয়ে কলকাতায় আসেন। শুক্রবার পর্যন্ত মোবাইলে বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ থাকলেও শনিবার থেকে আর নবীনবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি পরিবারের সদস্যেরা। এমনকি যে হোটেলে তিনি উঠেছিলেন, সেখানেও তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি।

বাবার কোনও খবর না পেয়ে রবিবার সকালে কলকাতায় উড়ে আসেন বিধায়ক-পুত্র সম্বিত নন্দ। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে রবিবার বিকেলে শেক্সপিয়র সরণি থানার পুলিশ জানায়, নবীনবাবু তাদের থানা এলাকারই একটি হোটেলে রয়েছেন। তিনি সুস্থ আছেন। কিন্তু তাঁকে মোবাইলে পাওয়া যাচ্ছিল না কেন?

Advertisement

এ দিন বিকেলে হোটেলে বসে বিজেডি-র প্রাক্তন ওই বিধায়ক জানান, তিনি শনিবার কিছু জিনিস কিনতে পার্ক স্ট্রিট এলাকায় গিয়েছিলেন। সে সময়ে এক যুবক তঁর পকেট থেকে মোবাইল এবং মানিব্যাগ তুলে নিয়ে পালায়। নবীনবাবু ছেলেটির পিছু ধাওয়া করলেও তাকে ধরতে পারেননি। ছিনতাইকারী যুবক বিধায়কের মোবাইল বন্ধ করে দেওয়াতেই তিনি কাউকে ফোন করতে পারছিলেন না। বাড়ির লোকজনও তাঁকে পাচ্ছিলেন না।

যদিও পুলিশের একাংশ দাবি করেছে, পারিবারিক সমস্যার জন্য খোদ বিধায়কই মোবাইল বন্ধ করে আত্মগোপন করেছিলেন। ছেলে এসে অভিযোগ জানালে মোবাইলের শেষ টাওয়ার লোকেশন দেখে তাঁর খোঁজ মেলে। এর পরেই নবীনবাবুকে হোটেলে ফিরিয়ে আনা হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন