Kasba Gangrape

কসবা গণধর্ষণকাণ্ডে মূল অভিযুক্তের কাগজ, পেনসিল দরকার! কোর্টে আর্জি, চার অভিযুক্তেরই ফের জেল হেফাজত

অভিযুক্তের আইনজীবী আদালতে দাবি করেন, জেলে পর্যাপ্ত আলো, বাতাস, খাবার পাচ্ছেন না তাঁর মক্কেল। একটি মশারি দরকার।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০২৫ ২২:২৬
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

জেলে যথেষ্ট আলো, বাতাস পাচ্ছেন না কসবার কলেজে গণধর্ষণকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত। মঙ্গলবার আদালতে এমনটাই দাবি করেছেন তাঁর আইনজীবী। তাঁর জন্য জেলে পেনসিল, কাগজও চেয়েছেন। তবে তাঁর হয়ে জামিন চাননি। কসবাকাণ্ডে তিন অভিযুক্ত এবং কলেজের রক্ষীকে ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। আগামী ৫ অগস্ট পর্যন্ত তাঁরা চার জন জেলেই থাকবেন।

Advertisement

কসবার কলেজে এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন কলেজের এক প্রাক্তন ছাত্র তথা বর্তমান কর্মী, দুই বর্তমান ছাত্র এবং কলেজের রক্ষী। কলেজের প্রাক্তন ছাত্র তথা মূল অভিযুক্তের আইনজীবী রাজা গঙ্গোপাধ্যায় মঙ্গলবার আদালতে সওয়াল করে জানান, তাঁরা জামিন চাইছেন না। তাঁর মক্কেলকে চাপ দেওয়া হচ্ছে। তিনি অপরাধ করেছেন, এ কথা বলতে বলা হচ্ছে। আইনজীবী আরও দাবি করেন, জেলে পর্যাপ্ত আলো, বাতাস, খাবার পাচ্ছেন না তাঁর মক্কেল। একটি মশারি দরকার। পেনসিল, কাগজ দরকার। অভিযুক্ত রক্ষীর আইনজীবী সওয়াল করে জানান, তাঁর মক্কেল দিনে ২৩৩ টাকা পাওয়া এক কর্মীমাত্র।

বিশেষ সরকারি আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় সওয়াল করে জানান যে, কলেজের সেই ঘরের ভিতরে যখন নির্যাতন চলছিল, তখন রক্ষী বাইরে পাহারা দিচ্ছিলেন। সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সেই ঘটনা। তিনি আরও জানান, ⁠এক জন ঘটনা ভিডিও করেন। সেই নিয়ে ব্ল‍্যাকমেল করা হয়। নিরাপত্তা রক্ষীর নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব ছিল। উনি গার্ড দিলেন, ভিতরে যাতে অপরাধ সংগঠিত হয়। তিনি আরও জানিয়েছেন, নির্যাতিতার সিডিআর (কল ডিটেল রেকর্ড) সংগ্রহ করা হয়েছে। সেখানে মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন মিলেছে। সকলের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে। তদন্তকারী সংস্থা কোনও ভাবেই প্রভাবিত হচ্ছে না।

Advertisement

এর পরেই সরকারি আইনজীবী সওয়াল করে আরও জানান, মূল অভিযুক্ত এখন খাতা, বই চাইছেন তাতে তাঁদের আপত্তি নেই। তবে এটা দেখিয়ে আবার পরে বলা হবে না তো যে, জেলে থাকায় অভিযুক্তের পড়াশোনা হচ্ছে না। তিনি খুব মেধাবী ছাত্র। ওই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পুরনো ১২টি মামলা রয়েছে। ⁠তাঁর মধ্যে শ্লীলতাহানির একটি মামলাও রয়েছে। এর পরেই বিচারক বলেন, রাজ্য কী করছিল? আইনজীবী বলেন, রাজ্য যা করার করেছে। বিচারক চার অভিযুক্তকেই বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement