পুলিশকর্মীকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছিল খোদ পুলিশকর্মীরই বিরুদ্ধে। তার জেরে ফাঁস হয়েছিল সরকারি চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা-চক্রের কারবার। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের কনস্টেবল তারিকুল ইসলাম শুধু রাজকুমার সরোজকে অপহরণ করেছিল। ‘অপহৃত’ রাজকুমার আসলে চাকরি দেওয়ার নামে বিভিন্ন জনকে প্রতারণা করত।
কী ভাবে প্রতারণা করত রাজকুমার?
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, কলকাতা পুলিশের রিজার্ভ ফোর্সের কনস্টেবল রাজকুমার ফুড কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া (এফসিআই) এবং ভারতীয় রেলের নকল ওয়েবসাইট তৈরি করে প্রার্থীদের চাকরির প্রতিশ্রুতি দিত। তার পরে নকল ওয়েবসাইটে তাদের নাম তুলে টাকা আদায় করত। এ কাজে রাজকুমারের সঙ্গে আর কেউ যুক্ত ছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পুলিশি তদন্তে আরও জানা গিয়েছে, তারিকুলের এক বোন রেহানা পরভিনকে চাকরি দেওয়ার নাম করে রাজকুমার দেড় লক্ষ টাকা হাতিয়েছিল। কিন্তু চাকরি দিতে পারেনি।
প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীদের অনুমান, সে কারণেই তারিকুল রাজকুমারকে শায়েস্তা করার ছক কষে। রাজকুমারকে জেরা করে পুলিশ আরও জেনেছে, রেহানা ছাড়াও আরও দু’জনকে চাকরি দেওয়ার নাম করে রাজকুমার পাঁচ লক্ষ টাকা করে নিয়েছিল।