চেক ক্লোনিং-এর ঘটনায় ধৃত তিন। নিজস্ব চিত্র।
অ্যাকাউন্টে আছে লক্ষ লক্ষ টাকা। কিন্তু হুঁশ নেই গ্রাহকদের। এমন অ্যাকাউন্টেই নজর দিয়েছিল চেক জালিয়াতেরা।
বৃহস্পতিবার রাতে কয়েক লক্ষ টাকার চেক জালিয়াতির ঘটনায় তিন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করার পরে এমনটাই দাবি করেছেন লালবাজারের তদন্তকারীরা। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানায়, ধৃতেরা মূলত উত্তর-পূর্ব ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের লক্ষ্য করে কাজ করত। কার অ্যাকাউন্টে কত টাকা আছে, সেই তথ্য আদায় করত ধৃত ব্যাঙ্ককর্মী সুমিত রায়। সে ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের হুগলির শিয়াখালায় শাখার চিফ চেক অপারেটিং অফিসার। গোয়েন্দাদের দাবি, সুমিত নিজের ‘আইডি’ ব্যবহার করে ওই ভুয়ো চেক ভাঙাতেও সাহায্য করত।
লালবাজার সূত্রের খবর, গত ৮ ফেব্রুয়ারি একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শ্যামবাজার শাখার তরফে উল্টোডাঙা থানায় অভিযোগ করে বলা হয়, অসমের গুয়াহাটির অনিলচন্দ্র গোস্বামীর অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা লোপাট হয়েছে। তদন্তে নেমে লালবাজারের গোয়েন্দারা সুমিত-সহ তিন জনকে ধরেন। ওই চক্রের মূল পান্ডা শুভাশিস পালও ধরা পড়ে। চেকের পাতায় ‘প্লাস্টিক সার্জারি’ করে জালিয়াতি করতে ওস্তাদ শুভাশিসের সঙ্গে পরিচয় ছিল সুমিতের। তদন্তকারীদের দাবি, মূলত বিহারের পটনায় রয়েছে ওই চক্রের বাকি সদস্যেরা। সেখানকার জালিয়াতেরা শুভাশিসের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলে। এর আগে চেক জালিয়াতির ঘটনায় গিরিশ পার্ক থানার পুলিশের হাতে তিন জন গ্রেফতার হয়েছিল। ওই ধৃতদের সঙ্গে পাটনার চেক জালিয়াতদের যোগ আছে কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।