ফাইল চিত্র।
মেট্রো রেলের সুড়ঙ্গে ঢুকলেই মোবাইলে কথা বলা বন্ধ। উধাও ইন্টারনেট পরিষেবাও। ব্যতিক্রম ছিল রিলায়্যান্স-জিও। এ বার অন্য সংস্থাগুলিও একে একে মেট্রো সফরের সময়ে নিরবচ্ছিন্ন টেলি পরিষেবা দেওয়ার পথে হাঁটছে। মঙ্গলবার এয়ারটেল জানিয়েছে, এ দিন থেকেই সেই সুবিধা মিলবে। সেপ্টেম্বরের গোড়ায় তা চালু করার ব্যাপারে আশাবাদী বিএসএনএল-ও।
এক দিকে দমদম, অন্য দিকে মহানায়ক উত্তমকুমার থেকে কবি সুভাষ— মাটির উপর দিয়ে মেট্রোয় যাওয়ার সময়ে সব গ্রাহকই পরিষেবা পান। কোথাও পরিকাঠামো দুর্বল থাকলে অবশ্য মাটির উপরেও পরিষেবা মাঝেমধ্যে ব্যাহত হয় না, এমন নয়। কিন্তু সুড়ঙ্গে কারওরই পরিষেবা দেওয়ার উপযুক্ত পরিকাঠামো ছিল না। বিক্ষিপ্ত ভাবে অবশ্য পরিষেবা পেয়েছেন কেউ কেউ। মূলত স্টেশন থেকে আসা সিগন্যাল যতটা সম্প্রসারিত হয়, তার অংশ হিসেবেই ওই পরিষেবা মিলেছে। মহিলাদের জন্য যে হেল্পলাইন নম্বর মেট্রোয় দেওয়া থাকে, নিরবচ্ছিন্ন পরিষেবার সুযোগের অভাবে কী ভাবে তা ব্যবহার করা সম্ভব, সেই প্রশ্নও উঠত।
সুড়ঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন পরিষেবা দিতে প্রথম পরিকাঠামো তৈরি করে জিও। ফলে তাদের গ্রাহকেরা গোড়া থেকেই ওই সুবিধা পাচ্ছিলেন। এ দিন এয়ারটেল-এর সিইও (পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা) বীর ইন্দর নাথ বলেন, ‘‘পরিকাঠামো তৈরি সম্পূর্ণ। মাটির নীচে মেট্রোর ১৫টি স্টেশনের সঙ্গে সুড়ঙ্গেও গ্রাহকেরা নিরবচ্ছিন্ন ২জি, ৩জি ও ৪জি পরিষেবা পাবেন।’’ তাঁর দাবি, ইন্টারনেটের গতিও অনেক দ্রুত হবে।
ক্যালকাটা টেলিফোন্স-এর সিজিএম এস পি ত্রিপাঠী জানান, সুড়ঙ্গে মেট্রোর নিজস্ব কেব্ল রয়েছে। পরিষেবা দিতে টেলি সংস্থাগুলি সেই কেব্লই ভাড়া নিচ্ছে। এ ছাড়া তাদের নিজস্ব পরিকাঠামোও গড়তে হচ্ছে। সিজিএম বলেন, ‘‘আগামী সপ্তাহেই আমাদের গ্রাহকেরা সুড়ঙ্গের মধ্যে ফোনে কথা বলতে বা ইন্টারনেট পরিষেবা পাবেন।’’
এ প্রসঙ্গে ভোডাফোন ও আইডিয়া-র প্রতিক্রিয়া মেলেনি। অন্য দিকে সন্ধ্যায় মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আজ, বুধবারের আগে তাঁরা কিছু জানাতে পারবেন না।