সল্টলেক

পড়ে রয়েছে নতুন ট্রাক, জমছে জঞ্জাল

ফাঁকা জমি থেকে বুলেভার্ড— জঞ্জালে ভরে উঠেছে বিধাননগর। অথচ সাফাই-এর জন্য কেনা আটটি ট্রাক পড়ে রয়েছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, নিয়মিত আবর্জনা সাফাইও হচ্ছে না।

Advertisement

কাজল গুপ্ত

শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০১৫ ০০:০১
Share:

যত্রতত্র এ ভাবেই পড়ে আবর্জনা। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য।

ফাঁকা জমি থেকে বুলেভার্ড— জঞ্জালে ভরে উঠেছে বিধাননগর। অথচ সাফাই-এর জন্য কেনা আটটি ট্রাক পড়ে রয়েছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, নিয়মিত আবর্জনা সাফাইও হচ্ছে না।

Advertisement

পুরসভার মেয়াদ ফুরিয়েছে। বিধাননগরের সঙ্গে রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভা জুড়ে তৈরি হয়েছে পুরনিগম। তারই নির্বাচন অক্টোবরে। এখন প্রশাসকের হাতে বিধাননগর। এক মন্ত্রী, দু’জন বিধায়ক নিয়ে তৈরি হয়েছে বোর্ড অব অ্যাডমিনিষ্ট্রেশন। বোর্ডের প্রথম বৈঠকে পরিষেবা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিরোধী বাম থেকে পুর-বাসিন্দা সকলেরই অভিযোগ, গুরুত্বপূর্ণ এই পরিষেবায় ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

পুরনিগম সূত্রের খবর, সল্টলেকে প্রতি দিন গড়ে ১৫০ মেট্রিক টনেরও বেশি আবর্জনা সংগ্রহ করা হত। দু’দফায় তা সাফাই করতেই হিমসিম খেতে হয়। তার উপরে জঞ্জাল সাফাইয়ের ৩৭টি গাড়ির মধ্যে পাঁচটি খারাপ। অথচ সাফাইয়ের জন্য কিনেও আটটি ট্রাক গত দু’মাস পড়ে আছে। ট্রাকগুলির মোট দাম ৮৬ লক্ষের মধ্যে গত পুরবোর্ড ৪৪ লক্ষ টাকা মিটিয়েও দিয়েছে।
অন্য দিকে, রাজ্য বিধাননগর পুরসভাকে কম্প্যাক্টর বসানোর জন্য এক কোটি ৫২ লক্ষ টাকা দিলেও আজও তা বসেনি।

Advertisement

বাসিন্দাদের একটি সংগঠনের পক্ষে কুমারশঙ্কর সাধু বলেন, ‘‘জনপ্রতিনিধি যে ভাবে নজর দেন, প্রশাসনের পক্ষে সেটা হচ্ছে না। এটা তারই প্রতিফলন।’’ যদিও এই অভিযোগ মানছেন না পুরনিগম কর্তৃপক্ষ। তাঁরা জানান, প্রশাসনিক জটিলতায় নতুন ট্রাক ব্যবহার করা যাচ্ছে না। জঞ্জাল অপসারণের নতুন পরিকল্পনার খসড়া রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানোর চিন্তাভাবনা হচ্ছে। বোর্ড-এর সদস্য তথা স্থানীয় বিধায়ক সুজিত বসু বলেন, ‘‘একটি বৈঠক হয়েছে। সেখানে সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সমাধানের জন্য এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন