অগ্নিকাণ্ডের পর গড়িয়াহাটে পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।—নিজস্ব চিত্র।
গড়িয়াহাটে অগ্নিকাণ্ডের জেরে রাস্তার উপর ফুটপাথ দখল করে বসা হকারদের ওপর নিয়ন্ত্রণ আনতে পারে সরকার। এই নিয়ে হকার সংগঠনগুলির সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। রাস্তায় হকারদের স্থায়ী ভাবে বসা নিয়ে যে পুরসভার আপত্তি আছে, ঘটনাস্থলে গিয়ে তাও এ দিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
রবিবারই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গড়িয়াহাটে যান কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। কথা বলেন স্থানীয়দের সঙ্গে। কোথায় কী সমস্যা রয়েছে, তা জানতে চান। পুরসভার একটি দলও বিষয়টি আলাদা করে খতিয়ে দেখছে বলে জানান তিনি। তাঁর কাছেরাস্তাজুড়ে হকারদের দাপট নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, প্লাস্টিক দিয়ে রাস্তাজুড়ে স্থায়ীভাবে দোকান তৈরি করা হয়েছে গড়িয়াহাট চত্বরে। হাঁটা চলার জায়গা থাকে না। আগুন লাগলে যে কোনও মুহূর্তে বড় সড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।পুলিশ এবং পুরসভাকে বার বার এই অভিযোগজানানো হলেও কাজের কাজ কিছু হয়নি বলে দাবি করেন তাঁরা।
ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, ‘‘হকারদের স্থায়ী ভাবে বসতে দেওয়া হবে না। চাকা গাড়ি ব্যবহার করতে হবে। আগামী দিনে ফায়ার অডিট বাধ্যতামূলক করতে হবে। লাইসেন্স ছিল কিনা, তাও খতিয়ে দেখতে বলেছি। পুলিশের কাছে রিপোর্ট চেয়েছি। দমকলের কেন সমস্যা হয়েছে, তাও জানতে চেয়েছি।”
আরও পড়ুন: খাঁচা খুলেও বাঁচানো গেল না, গড়িয়াহাটের আগুনে দমবন্ধ হয়ে মৃত তিন বদ্রিকা
আরও পড়ুন: দশ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে গড়িয়াহাট মার্কেটের আগুন, কোটি টাকার ক্ষতির আশঙ্কা
হকারদের পাশাপাশি গড়িয়াহাটের বহুতলে অগ্নি-কাণ্ডের ঘটনায় বিজ্ঞাপনের হোর্ডিং নিয়ে অসন্তুষ্ট দমকল বিভাগও। এ দিনও পাঁচতলা গুরুদাস ম্যানসন-এর বাইরের দিকে প্রায় সর্বত্রই বড় বড় হোর্ডিং লাগানো থাকায় আগুন নেভানোর সময় সমস্যার মুখে পড়েন দমকল এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরা। হোর্ডিং সরিয়ে কাজ করতে গিয়ে সময় লেগে যায়। যার ফলে আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি।