তখনও চলছে বিক্ষোভ।—নিজস্ব চিত্র।
ছাত্র বিক্ষোভের সামনে নতিস্বীকার করলেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তুলে নেওয়া হল ৩ ছাত্রের সাসপেনশন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া এবং পড়ুয়াদের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে সমাধান সূত্রে বেরিয়ে আসে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। সাসপেন্সন তোলার সঙ্গে সঙ্গে ঘেরাও তুলে নেন পড়ুয়ারাও।
বুধবার দুপুর থেকে সাসপেনশন তোলার দাবিতে উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়াকে ঘেরাও করে রেখেছিলেন পড়ুয়ারা। তাঁদের এই আচরণকে ব্ল্যাকমেলের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন তিনি। তবে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন পড়ুয়ারাও। সাসপেনশন তোলা না হলে আন্দোলন জারি থাকবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। দুই পক্ষের এই অনড় মনোভাবের জেরে পঠনপাঠান শিকেয় ওঠে। তাই আলোচনায় বসে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়া হয়।
হিন্দু হস্টেলের দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরে আন্দোলন চলছিল প্রেসিডেন্সিতে। যার জেরে সমাবর্তন অনুষ্ঠানও অন্যত্র সরাতে হয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে গঠিত হয় তদন্ত কমিটি। তদন্তের পর ৩ ছাত্রকে ১ বছরের জন্য এবং বাকি ১৮ জনকে ৬ মাসের জন্য সাসপেন্ড করার সুপারিশ করে ওই কমিটি। উপাচার্যের পরামর্শে পরে ওই ৩ জনের সাসপেনশন কমিয়ে ৬ মাস করা হয়। বাকি ১৮ জনকে সতর্ক করতে দেওয়া হয় চিঠি। কিন্তু তাঁর এই সিদ্ধান্ত মেনে নেননি পড়ুয়ারা। ২ জানুয়ারি সাসপেনশনের নির্দেশ কার্যকর হওয়ার পর থেকে নতুন করে বিক্ষোভ শুরু হয়।
আরও পড়ুন: ‘দিদিমণিকে কালীঘাটে ফেরত পাঠাবেন জনতাই’, জয়নগরে বললেন দিলীপ ঘোষ
আরও পড়ুন: অফিস থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে প্রযোজক শ্রীকান্ত মোহতাকে গ্রেফতার করল সিবিআই