যুবক খুনে ধৃত ফেসবুক বান্ধবী

তদন্তকারীরা জানতে পারেন, সাজদা নামে ওই যুবতীর বাড়িতে এসেছিলেন হায়দার। এর পরেই সাজদা এবং সাকিলকে থানায় নিয়ে গিয়ে টানা জেরা শুরু হয়। পুলিশের দাবি, জেরায় সাজদা ও সাকিলের কথায় অসঙ্গতি মিলেছিল। সেই অসঙ্গতি নিয়ে ফের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হতেই দোষ কবুল করেন তাঁরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০১৭ ১১:০০
Share:

প্রতীকী ছবি।

ফেসবুকে আলাপ হওয়া বান্ধবীর বাড়ি গিয়েছিলেন তিনি। সেটাই কাল হল মধ্য কলকাতার জাকারিয়া স্ট্রিটের বাসিন্দা হায়দার আলি খান নামে বছর পঁচিশের এক যুবকের। তদন্তে এমনটাই দাবি পুলিশের। হায়দারকে খুনের অভিযোগে তাঁর বান্ধবী সাজদা খাতুন ও সাজদার স্বামী শেখ সাকিলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁরাও একবালপুরের বাসিন্দা।

Advertisement

পুলিশ জানায়, সোমবার একবালপুরের বাদশা হাইস্কুলের পাঁচিল ঘেঁষে ওই যুবককে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়েরা। পুলিশ ওই যুবককে উদ্ধার করে পিজি-তে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, হায়দারের মুখ, নাক, কান থেকে রক্ত বেরোচ্ছিল। কোনও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। তবে হায়দারের পরিবার জানায়, রবিবার রাতে তিনি বেরিয়েছিলেন, তার পরে ফেরেননি। সোমবার হায়দারের দেহ উদ্ধারের পরে তাঁর বাড়ির লোকজন খুনের অভিযোগ দায়ের করেন।

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, তাঁরা প্রথমে হায়দারের মোবাইল ঘেঁটে দেখা শুরু করেন। যে স্কুলের সামনে হায়দারকে পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল, তার আশপাশের বাড়িতেও জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, সাজদা নামে ওই যুবতীর বাড়িতে এসেছিলেন হায়দার। এর পরেই সাজদা এবং সাকিলকে থানায় নিয়ে গিয়ে টানা জেরা শুরু হয়। পুলিশের দাবি, জেরায় সাজদা ও সাকিলের কথায় অসঙ্গতি মিলেছিল। সেই অসঙ্গতি নিয়ে ফের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হতেই দোষ কবুল করেন তাঁরা।

Advertisement

লালবাজারের একটি সূত্র জানাচ্ছে, হায়দার ও সাজদার আলাপ ফেসবুকে। বন্ধুত্ব গভীর হলেও হায়দার জানতেন না, সাজদা বিবাহিত। বা়ড়ির ঠিকানাও জানতেন না। তবে অনেক বার তাঁরা দেখা করেছিলেন। হায়দারের কথা সম্প্রতি জানতে পারেন সাকিলও। পুলিশ জেনেছে, সোমবার একবালপুরে গিয়ে খুঁজে খুঁজে সাজদার বাড়ি পৌঁছন হায়দার। সে সময়ে কিছু নিয়ে তাঁদের মধ্যে বচসা শুরু হয়। পাশেই একটি স্কুলের ছাদে উঠে যান তাঁরা। হাজির হন সাকিলও। পুলিশের দাবি, সাকিল ও হায়দারের মধ্যে হাতাহাতি হয়। অভিযোগ, এর পরেই স্বামী-স্ত্রী মিলে হায়দারকে ধাক্কা দেন। তাতেই তিনি ছাদ থেকে পড়ে যান বলে পুলিশ সূত্রের দাবি।

তবে, এই ঘটনার পিছনে আরও রহস্য থাকতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। সাজদা ও সাকিলকে আরও জেরা করা হবে। বুধবার আলিপুর আদালতে সাজদা ও সাকিলকে ৯ অগস্ট পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন