বাংলাদেশ থেকে সোনা পাচারের অভিযোগ, ধৃত ৩

ভারতের বাজারে যে সোনা পাওয়া যায়, তার তুলনায় বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া সোনার দাম কিলোগ্রাম প্রতি প্রায় ২-৩ লক্ষ টাকা কম বলে ডিআরআই সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০২:২৮
Share:

উদ্ধার হওয়া সোনার বিস্কুট, সোনা-রুপোর গয়না এবং দশ লক্ষের উপর টাকা। —নিজস্ব চিত্র।

বাংলাদেশ থেকে সোনা পাচার করার সময়ে ডিরেক্টরেট অব রেভিনিউ ইনটেলিজেন্স (ডিআরআই) অফিসারদের হাতে ধরা পড়ে গেলেন এক বাংলাদেশি, বড়বাজারের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী এবং তাঁর এক কর্মচারী। এই প্রথম নয়, জেরায় জানা গিয়েছে, ওই ব্যবসায়ী এর আগেও পাচার করা সোনা থেকে গয়না বানিয়ে বিক্রি করেছেন। অফিসারদের সন্দেহ, কলকাতা তথা রাজ্যের স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের একাংশ এ ভাবে নিয়মিত বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়ে আসা সোনা থেকে গয়না বানিয়ে বিক্রি করছেন।

Advertisement

ভারতের বাজারে যে সোনা পাওয়া যায়, তার তুলনায় বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া সোনার দাম কিলোগ্রাম প্রতি প্রায় ২-৩ লক্ষ টাকা কম বলে ডিআরআই সূত্রে জানা গিয়েছে। ডিআরআই সূত্রের খবর, গ্রেফতার হওয়া বাংলাদেশি জহিরুল ইসলাম কায়ুম সোমবার কলকাতার মির্জা গালিব স্ট্রিটের একটি হোটেলে এসে ওঠেন। যুগল কিশোর সিংহ নামে এক ব্যক্তি তাঁর কাছ থেকে পাচার হওয়া সোনা কিনতে যান। সোমবার হোটেলে হানা দিয়ে দু’জনকে হাতেনাতে ধরা হয়। কায়ুমের কাছে বাংলাদেশ থেকে লুকিয়ে আনা মোট আড়াই কিলোগ্রাম ওজনের ২০টি সোনার বিস্কুট পাওয়া যায়। সেই সোনা কিনতে যুগল সঙ্গে এনেছিলেন ৭০ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা।

জেরায় জানা যায়, যুগল আসলে রাজকুমার গুপ্ত নামে বড়বাজারের এক ব্যবসায়ীর কর্মচারী। বড়বাজারে রাজকুমারের সোনার দোকান রয়েছে। ডিআরআই অফিসারেরা হোটেল থেকেই যুগলকে দিয়ে ফোন করিয়ে রাজকুমারকে ডেকে আনেন। সেখানেই গ্রেফতার করা হয় রাজকুমারকে। এর পরে তিন জনকে নিয়ে রাজকুমারের দোকানে হানা দিয়ে নগদ ৩৯ লক্ষ ৮৩ হাজার টাকা এবং প্রায় ১০ লক্ষ ৭২ হাজার টাকার সোনা ও রুপোর গয়না বাজেয়াপ্ত করা হয়। ডিআরআই সূত্রে জানা গিয়েছে, সোনা ছাড়াও রুপোও বিদেশ থেকে আমদানি করেছেন রাজকুমার এবং সেই সংক্রান্ত কোনও কাগজপত্র তিনি দেখাতে পারেননি। মঙ্গলবার ধৃতদের আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁদের ১ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন