নির্মীয়মাণ বাড়িতে ঢুকে হাঙ্গামা সিন্ডিকেট দুষ্কৃতীদের

রঞ্জিত বৈদ্য নামে ওই এলাকার এক বাসিন্দা বাড়ি তৈরি করছেন। এলাকার সিন্ডিকেটের কাছ থেকে ইমারতি দ্রব্য কিনে বাড়ি তৈরি করছিলেন তিনি। সম্প্রতি রঞ্জিতবাবু দেখেন, ওই সব ইমারতি দ্রব্যের গুণমান অত্যন্ত খারাপ এবং দাম বাজারদরের থেকে অনেকটাই বেশি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০১৯ ০২:০০
Share:

প্রতীকী ছবি।

রাজপুর-সোনারপুর পুরসভা এলাকায় সিন্ডিকেট দৌরাত্ম্যের অভিযোগ উঠল। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে সেখানকার গড়িয়া- নরেন্দ্রপুর থানার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের পাঁচপোতায়।

Advertisement

রঞ্জিত বৈদ্য নামে ওই এলাকার এক বাসিন্দা বাড়ি তৈরি করছেন। এলাকার সিন্ডিকেটের কাছ থেকে ইমারতি দ্রব্য কিনে বাড়ি তৈরি করছিলেন তিনি। সম্প্রতি রঞ্জিতবাবু দেখেন, ওই সব ইমারতি দ্রব্যের গুণমান অত্যন্ত খারাপ এবং দাম বাজারদরের থেকে অনেকটাই বেশি। তাই কয়েক দিন আগে তিনি ওই সিন্ডিকেটের কাছ থেকে ইমারতি দ্রব্য নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন। অভিযোগ, এর জন্য বেশ কয়েক বার রঞ্জিতবাবুকে শাসানি দেয় সিন্ডিকেটের কয়েক জন সদস্য।

আরও অভিযোগ, বুধবার গভীর রাতে ওই নির্মীয়মাণ বাড়িতে চড়াও হয় সিন্ডিকেটের দুষ্কৃতীরা। সেখানে সেই সময়ে কয়েক জন মিস্ত্রি ও জনমজুর ছিলেন। অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা তাঁদের মারধর করে। সিন্ডিকেটের লোকজনের মারের চোটে তিন জন মজুর গুরুতর জখম হন বলে পুলিশ সূত্রের খবর। এক মজুরের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মিস্ত্রি ও মজুরেরা নদিয়া জেলার বাসিন্দা। তাঁরা ওখানেই থাকেন। রাতে মারধরের পরে ওই মজুরদের এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য শাসানিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

Advertisement

ওই এলাকার তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত মুখ রমেশ নস্কর সিন্ডিকেটের মাথা বলে দাবি করছেন রঞ্জিতবাবু। রমেশের সঙ্গে রঞ্জিতবাবুর ইমারতি দ্রব্য কেনাবেচা নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল। ওই রাতে রমেশই দলবল নিয়ে গিয়ে মজুরদের মারধর করেছেন বলে নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন রঞ্জিতবাবু। রমেশ তৃণমূল কর্মী বলে স্বীকার করেছেন তিন নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অশোকা মির্ধা। তিনি বলেন, ‘‘রঞ্জিত ও রমেশ দু’জন এলাকায় তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত। ওই ঘটনায় দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তির ব্যবস্থা করুক প্রশাসন।’’

ঘটনার পরে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। একই সঙ্গে পুলিশি পাহারাও বসানো হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রমেশের বিরুদ্ধে একাধিক অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ রয়েছে। তবে ঘটনার পর থেকে সে পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ। সোনারপুর (উত্তর)-এর বিধায়ক ফিরদৌসি বেগম বলেন, ‘‘পুলিশ তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিক।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন