বাঁশদ্রোণীতে দু’জনকে মারধরের ঘটনায় রবিবার রাতে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম ভাস্কর সেনগুপ্ত, তরুণ ভট্টাচার্য ও পাপাই মিত্র। ধৃতেরা প্রত্যেকেই ওই এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, কলকাতা পুরসভার ১১১ নম্বর ওয়ার্ড কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি তৈরি করাকে কেন্দ্র করেই এই গণ্ডগোলের সূত্রপাত, যা আদতে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেরই বহিঃপ্রকাশ। অভিযোগ, নতুন কমিটির সদস্যদের মেনে নিতে না পারায় রবিবার রাতে বাঁশদ্রোণীর ব্যানার্জিপাড়ায় রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায় ও উজ্জ্বল সেন নামে দুই তৃণমূল সমর্থকের উপরে চড়াও হন ভাস্কর সেনগুপ্ত, তরুণ ভট্টাচার্য ও পাপাই মিত্র-সহ পুরনো কমিটির প্রায় ছ’জন সদস্য। পুলিশ সূত্রের খবর, রাহুল ও উজ্জ্বল বাড়ি থেকে বেরিয়ে স্থানীয় পার্টি অফিসে যাচ্ছিলেন। সেই সময়ে আচমকাই ওই হামলা হয়। তাঁদের রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। আহত দু’জনকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে রাহুলকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। উজ্জ্বল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। রবিবার রাতে মারধরের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত চানু দাস ফেরার। পুলিশ তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ১১১ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কমিটিতে রয়েছেন ভাস্কর সেনগুপ্ত, তরুণ ভট্টাচার্যেরা। সূত্রের খবর, পুরনো কমিটির বিরুদ্ধে দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ ওঠায় স্থানীয় বিধায়ক অরূপ বিশ্বাস নতুন কমিটি গড়ার সিদ্ধান্ত নেন। সম্ভাব্য নতুন কমিটিতে রয়েছেন রাহুল ও উজ্জ্বল। এ প্রসঙ্গে স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী অরূপবাবু বলেন, ‘‘বাঁশদ্রোণীর ঘটনা সম্পর্কে কিছু জানি না। খোঁজখবর নিয়ে দেখছি।’’ বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশ ধৃত তিন জনের বিরুদ্ধে মারধর ও তোলবাজির অভিযোগে মামলা রুজু করেছে।