ফাইল চিত্র।
ছাত্র ভর্তির সময়ে কর্তৃপক্ষ জানান, অষ্টম শ্রেণির অনুমোদন আছে। অচিরে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সিবিএসই-র অনুমোদন মিলবে। অভিযোগ, সেই আশ্বাসে রাজারহাট-নিউ টাউনের দু’বছরের পুরনো ওই স্কুলে ছেলেমেয়েদের ভর্তি করান বহু অভিভাবক। দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার আগে জানা গেল, অনুমোদন মেলেনি। পড়ুয়াদের তাই অন্য স্কুল থেকে পরীক্ষায় বসতে হয়। তাতে পাশ করেননি অনেকেই।
অভিভাবকদের দাবি, স্কুল কর্তৃপক্ষকে বারবার অভিযোগ করেও ফল হয়নি। সম্প্রতি স্কুলে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। মঙ্গলবার সাংসদ মুকুল রায় ও স্থানীয় বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত বিধাননগর পুরভবনে অভিভাবকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। ছিলেন ত্রিপুরার তৃণমূলের প্রদেশ সভাপতি তথা বিধায়ক আশিস সাহা। তিনি জানান, ওই স্কুলের কয়েক জন পড়ুয়ার বাড়ি ত্রিপুরায়। মূলত সেই অভিভাবকদের থেকে অভিযোগ পেয়ে তিনি বিষয়টি মুকুলবাবুকে জানান। সেই অনুযায়ী সমস্যার কথা পৌঁছয় বিধায়কের কাছে। তার পরেই বৈঠকের দিনক্ষণ নির্ধারিত হয়।
স্কুলের তথ্য-সহ অভিভাবকদের পুলিশের দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শ দেন সব্যসাচীবাবু। অভিভাবকদের একাংশ জানান, মুকুলবাবু তাঁদের সিআইডির এক শীর্ষকর্তার কাছে অভিযোগ জানাতে বলেন। শিক্ষা দফতর ও মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রককে জানানোর পরামর্শ দেন তিনি। মুকুলবাবু বলেন, ‘‘বিনা অনুমোদনে যে স্কুল চলছে, সেটি ভুয়ো ছাড়া আর কী?’’ স্কুলের অধ্যক্ষ অপালা চক্রবর্তী বলেন, ‘‘শুরুতে অষ্টম শ্রেণির অনুমোদন ছিল। পরে তা নবম পর্যন্ত হয়। প্রথম থেকে অভিভাবকেরা তা জানতেন। স্কুল দ্বাদশ শ্রেণির অনুমোদন পাবে এমন আশ্বাস দেওয়া হয়নি। কোথাও বিষয়টি বুঝতে তাঁরা ভুল করছেন।’’