পুলিশের শীর্ষ কর্তারাই যদি আদালতের নির্দেশ না মানেন, তা হলে নিচুতলার পুলিশ কর্মীরা কী শিখবেন? এই প্রশ্ন তুললেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী। শুক্রবার আদালত অবমাননা সংক্রান্ত একটি মামলায় কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার হাজির হলে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) জয়ন্ত মিত্রের উদ্দেশে ওই প্রশ্ন করেন বিচারপতি বাগচী।
পুলিশ তাদের ব্রিগেডে সমাবেশের অনুমতি দিচ্ছে না, এই অভিযোগে হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর আদালতে মামলা করেছিল রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)। গত ১১ জানুয়ারি বিচারপতি বাগচী নির্দেশ দেন— সমাবেশের অনুমতি দেওয়া যায় কি না, কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকেই তা বিবেচনা করে সঙ্ঘকে জানাতে হবে। কমিশনারের বদলে যুগ্ম কমিশনার সেই কাজ করায় আদালত অবমাননার রুল ইস্যু করেছিল হাইকোর্ট। কী কারণে কমিশনার হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করেছেন, শুক্রবার আদালতে হাজির হয়ে তার কারণ জানাতে নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী।
এ দিন কমিশনার আদালতে হাজির হলে বিচারপতি বাগচী তাঁকে নির্দেশ দেন, কারণ জানাতে হবে হলফনামা দাখিল করে। এর জন্য পুলিশ কমিশনারকে দু’সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে ওই হলফনামা জমা দিতে হবে।
তবে, এ দিন আদালতে এজি দাবি করেন, সমাবেশ করতে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করেছিলেন পুলিশ কমিশনারই। কিন্তু প্রশাসনিক কাজে তড়িঘড়ি লালবাজার থেকে চলে যেতে হওয়ায় যুগ্ম কমিশনারকে ওই কাজ করতে হয়। সঙ্ঘকে যে চিঠি দেওয়া হয়, তাতে সই করেন যুগ্ম কমিশনারই। তা শুনে বিচারপতি বাগচী বলেন, ‘‘কমিশনার যদি চিঠিতে জানাতেন, তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে যুগ্ম কমিশনার জানাচ্ছেন, তা হলেও কথা ছিল। তিনি তো তা বলেননি।’’