জেলে মোবাইল, ওষুধ-সহ গ্রেফতার চিফ হেড ওয়ার্ডার

বেশ কিছু দিন ধরেই চিফ হেড ওয়ার্ডারের বিরুদ্ধে মোবাইল নিয়ে সংশোধনাগারে ঢোকার অভিযোগ আসছিল। বন্দিদের ব্যবহারের জন্যই তিনি মোবাইল নিয়ে যাচ্ছিলেন বলে সন্দেহ হয় জেল কর্তৃপক্ষের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০১৯ ০২:১৭
Share:

বারুইপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার।—ফাইল চিত্র।

বারুইপুরের কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে মোবাইল নিয়ে ঢোকার চেষ্টার অভিযোগে শুক্রবার গ্রেফতার করা হল সেখানকার চিফ হেড ওয়ার্ডার সুখেন্দু দাসকে। তাঁর কাছ থেকে বেশ কিছু দামি ওষুধও পাওয়া গিয়েছে বলে অভিযোগ।

Advertisement

বেশ কিছু দিন ধরেই চিফ হেড ওয়ার্ডারের বিরুদ্ধে মোবাইল নিয়ে সংশোধনাগারে ঢোকার অভিযোগ আসছিল। বন্দিদের ব্যবহারের জন্যই তিনি মোবাইল নিয়ে যাচ্ছিলেন বলে সন্দেহ হয় জেল কর্তৃপক্ষের। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে এ দিন বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ সুখেন্দুর সংশোধনাগারে ঢোকার অপেক্ষা করছিলেন কর্তৃপক্ষ। তিনি ঢুকতেই দেহ তল্লাশি করেন দায়িত্বপ্রাপ্তেরা। অভিযোগ, তাঁর কোমরে গোঁজা ছিল মোবাইলটি। সুখেন্দু সেটি সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করেন বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। এমনকি, পালানোরও চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। জেলের এক পদস্থ আধিকারিকের কাছে দৌড়ে যান তিনি। তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। ধরা পড়ে যান সুখেন্দু।

সুখেন্দুর বিরুদ্ধে বারুইপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন জেল কর্তৃপক্ষ। আইন অনুযায়ী পুলিশ পদক্ষেপ করবে বলেই কারা দফতর সূত্রের খবর। যদিও এ বিষয়ে সরাসরি কিছু বলতে চাননি জেলের কর্তারা।

Advertisement

২০১৮ সালের জুন মাসে মাদক, মোবাইল ও নগদ টাকা-সহ আলিপুর সংশোধনাগারে ধরা পড়েছিলেন সেখানকার পূর্ণ সময়ের চুক্তিভিত্তিক চিকিৎসক অমিতাভ চৌধুরী। গত নভেম্বরে আলিপুর থেকে বারুইপুরে বন্দিদের স্থানান্তরিত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। এক সময়ে আলিপুরে বন্দিদের কাছ থেকে প্রায়ই মোবাইল উদ্ধারের ঘটনা ঘটত। বারুইপুরে তেমন কিছু এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। শুক্রবার চিফ হেড ওয়ার্ডারের কাছ থেকে মোবাইল উদ্ধারের ঘটনাটি এ ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন