বেলিলিয়াস রোড। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার।
সকাল সাড়ে ৯টা। অফিস যাওয়ার জন্য বাস না পেয়ে টোটোতেই রওনা হন ব্যাঁটরার অনিমেষ রায়। লক্ষ্য, হাওড়া ময়দান পৌঁছে বাস ধরা। কিন্তু গলি ছেড়ে ইস্ট-ওয়েস্ট বাইপাসে উঠে দেখেন হাঁটুজল। তা ঠেলে এগোতে গিয়েই গর্তে পড়ে উল্টে গেল টোটো।
আহত না হলেও জলে পড়ে হাবুডুবু খেলেন যাত্রীরা।
বৃষ্টি থামলেও দুপুর ১টা নাগাদ হাঁটুজলে ভাসছিল বেলিলিয়াস রোড। জল ভরা ভাঙাচোরা ওই রাস্তা ধরে আসছিলেন এক ট্যাক্সিচালক। ডান দিক চেপে আসতে গিয়ে গাড়ির চাকা ঢুকে গেল গর্তে। সময় যত গড়াল, চাকা ততই চেপে বসলো গর্তের ভিতরে।
শুক্রবার সকালে কার্যত সারাদিনই জলবন্দি রইল হাওড়া পুরসভার প্রায় ২০টি ওয়ার্ড ও বালির কিছু এলাকা। জল জমে বালি ও বেলুড়ের পাঠকপাড়া, শান্তিরাম রাস্তা, ভোট বাগান, কামারপাড়া, গুহ রোড, গিরিশ ঘোষ রোড, বেলুড় স্টেশন রোড, জায়সবাল হাসপাতাল, বেলুড় রেল সাবওয়ে-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায়। উত্তর হাওড়ার অবস্থা ছিল সবচেয়ে খারাপ। নস্করপাড়া, মৈনাক পোড়েল লেন, সীতানাথ বসু লেন, বেনারস রোড-সহ আরও কয়েকটি এলাকা পুরোপুরি জলমগ্ন হয়ে পড়ে। সত্যবালা হাসপাতালে কোমর সমান জল জমে। মধ্য হাওড়ার পঞ্চাননতলা রোড, বেলিলিয়াস রোড, ইস্ট-ওয়েস্ট বাইপাস-সহ বহু জায়গা ছিল জলের তলায়।
এ দিন হাওড়ার মেয়র পারিষদ (নিকাশি) শ্যামল মিত্র বলেন, ‘‘সারাদিনে ২৭টি পাম্প চালানোয় বহু জায়গায় জল নেমেছে। কম সময়ে অতি বৃষ্টিতেই এই সমস্যা।’’ বালি সম্পর্কে শ্যামলবাবু বলেন, ‘‘বালি পুরসভায় নিকাশির কোনও পরিকাঠামোও নেই। এ বার বালি হাওড়ার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। তাই ওখানকার ইঞ্জিনিয়ারদের বলেছি জল নামাতে যা করতে হয় করুন।’’
মেয়র রথীন চক্রবর্তীর অবশ্য স্পষ্ট স্বীকারোক্তি, ‘‘এত অল্প সময়ে কিছুই করে উঠতে পারিনি। কিন্তু যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে যা করা হয়েছে তাতে এ বারের প্রথম বর্ষণেই চল্লিশ শতাংশ সাফল্য মিলেছে। তবে পরিকাঠামোর আরও উন্নয়নের প্রয়োজন।’’